সৌদিআরবের রিয়াদে শেষ হলো ৪২তম জিসিসি শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনে ওমান সহ মধ্যপ্রাচ্যের ছয় দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন। এবারের সম্মেলনে জিসিসি অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা এবং সুরক্ষা কাঠামো নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন রাষ্ট্র নেতারা।
সরকারী বার্তা সংস্থা ডাব্লিউএএম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জিসিসি সম্মেলনে রাষ্ট্র নেতারা জানান, “জিসিসি দেশগুলোর মধ্যে কার্যকর বৈদেশিক নীতি গড়ে তুলতে দেশগুলোর অভিন্ন বিদেশ নীতি অত্যাবশ্যক।
যা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যা দূর করবে। এছাড়াও অভিন্ন বৈদেশিক নীতি গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা নীতির কৌশলগত পরিবর্তন জরুরী। এই লক্ষ্যে সকল দেশের রাষ্ট্র নেতারা সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শীর্ষ সম্মেলনে জিসিসি সুপ্রিম কাউন্সিল ও জিসিসি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেওয়া হয়। যে রেল ওমান থেকে দুবাই হয়ে কাতার, বাহরাইন এবং কুয়েতের সাথে সংযুক্ত হবে। যদিও এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত কোনো আলোচনা করেননি রাষ্ট্রনেতারা। তবে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে জিসিসি’র পূর্ণ অর্থনৈতিক ঐক্যের নেতৃত্বে যৌথ কাস্টমস ইউনিয়ন এবং একক মার্কেট প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সৌদি আরবের প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন: “আমরা একটি সমৃদ্ধ অর্থনীতি গড়ার অপেক্ষায় রয়েছি। যা আয়ের উৎস বৈচিত্র্যকরণের উপর নির্ভর করে এবং সম্যক ক্ষেত্রে উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।”
এবারের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম, কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি, বাহরাইনের রাজা হামাদ বিন ঈসা আল খলিফা, কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্স মিশাল আল জাবের আল সাবাহ এবং ওমানের উপ-প্রধানমন্ত্রী সাইদ ফাহাদ বিন মাহমুদ আল সাইদ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post