জাপানের হিরোশি নিশিউরা নামে এক বিজ্ঞানী এ কথা বলেন, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে ৪.২ গুণ বেশি সংক্রামক। দক্ষিণ আফ্রিকার গুটেং প্রদেশে (প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার স্থান) ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত পাওয়া জিনোম ডেটা বিশ্লেষণ করে করা এক গবেষণায় তিনি এই তথ্য পেয়েছেন বলে জানান।
আর এই তথ্যের মধ্য দিয়ে ওমিক্রন যে অতি সংক্রামক আশঙ্কা করা হচ্ছিল তাই যেন প্রমাণ হলো। গবেষণাপত্রটি এখনো কোনো পিয়ার রিভিউ জার্নালে প্রকাশিত হয়নি। হিরোশি নিশিউরা নামের ওই বিজ্ঞানী কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের হেল্থ অ্যান্ড ইনভাইরনমেন্টাল সাইয়েন্সের প্রফেসর এবং জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।
এ ছাড়া তিনি সংক্রামক ব্যাধির গাণিতিক মডেলিংয়ে বিশেষজ্ঞ। গতকাল বুধবার (৯ ডিসেম্বর) জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তিনি এই তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ওমিক্রন অতি সংক্রামক এবং এটি মানুষের প্রকৃতিগত ও টিকা দিয়ে যে ইমিউনিটি সৃষ্টি করা হয় তা উভয়কেই ফাঁকি দিতে পারে।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট অতিসংক্রামক হলেও ভাইরাসের ডেল্টা ধরনের তুলনায় দুর্বল। আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্য এই ইঙ্গিত করে যে, ওমিক্রন কোভিড-১৯ ভাইরাস পূর্ববতী ভেরিয়্যান্টের তুলনায় আগে সংক্রমিত বা ভ্যাকসিন নিয়েছে এমন লোকদের সহজেই সংক্রমিত করতে পারে তবে এই সংক্রমনের প্রভাব মৃদু।
সংস্থার প্রধান টেড্রোর্স আধানম গেব্রেয়েসাস সাংবাদিকদের বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রাপ্ত ডেটায় ওমিক্রন পুনরায় সংক্রমন বৃদ্ধির ঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়। তবে এমন কিছু তথ্য প্রমাণ রয়েছে যাতে দেখা যায় ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে দুর্বল রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post