এবারের মহান বিজয় দিবসে সারাদেশের মানুষকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে সেটি ঠিক কী ধরনের শপথ তা জানানো হয়নি।
আজ দুপুরে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা প্রদান-সংক্রান্ত আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুই সভায়ই সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, (১৬) ডিসেম্বরের যে অনুষ্ঠান, সেই অনুষ্ঠানে বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সারা দেশের সঙ্গে যুক্ত থেকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। সেখানে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেবেন। তারপর সাড়ে ৫টা থেকে আলোচনা সভা শুরু হবে।
সব বিভাগ/জেলা/উপজেলা স্টেডিয়াম/মহান বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যুতে শপথ অনুষ্ঠানটি আয়োজনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কী শপথ হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পরে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাব।
বিজয় দিবসের দিনের আলোচনা সভায় ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ যোগদান করবেন বলেও জানান কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমাদের মাননীয় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও থাকবেন। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর সঙ্গে আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি। দুটোর সমন্বয়ে যাতে সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান হয়, সে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
এদিকে,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। বিজয় দিবসের ৫০ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে, সেখানে ৬টি দেশের প্রতিনিধি আসবেন। সেখানে অনেকগুলো দেশের অংশগ্রহণ থাকবে। সেজন্য সারা দেশের মানুষের একটি আগ্রহ রয়েছে। তারা সবাই উন্মুখ রয়েছে, এ অনুষ্ঠানে তারা অংশগ্রহণ করবেন।’
নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে সুন্দরভাবে হয়। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ। এই আলোকে সবকিছুই নিরাপদে করতে পারব। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।’
করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট ছাড়া কেউ সেখানে যেতে পারবেন না উল্লেখ করে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী আরও বলেন, আমন্ত্রণপত্রে জানিয়ে দেওয়া হবে কোথায় কোথায় করোনা পরীক্ষা করতে হবে। যেহেতু স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে তাই করোনা পরীক্ষাটা বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কিছু আমরা ফলো করব। সব মিলিয়ে প্রতিদিন তিন হাজার মানুষ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানটি সারা দেশের পাশাপাশি সারা বিশ্বে সম্প্রচার হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন আরও বলেন, পুরো অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সাজিয়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, প্রকৃতি, পরিবেশ সব মিলিয়ে দেশের ৫০ বছরের অগ্রগতি, এ সবের সমন্বয়ে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান হবে। এ সময় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post