মহামারি করোনা ভাইরাসের মধ্যেও থেমে নেই বৈদেশিক কর্মসংস্থান। গেলো আট মাসে দেশের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এই খাতে সুবাতাস বইছে। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, শুধু নভেম্বরে মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন ১ লাখ ২ হাজার ৮৬৩ জন কর্মী। যা চলতি বছরে মাস হিসেবে বিদেশে কর্মী যাওয়ার রেকর্ড গড়েছে।
সরকারের ইতিবাচক অভিবাসন ব্যবস্থাপনার ফলেই বিদেশ কর্মী যাওয়ার এই ঊর্ধ্বগতি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নভেম্বর মাসে মধ্যপ্রাচ্যের পাঁচ দেশে কর্মী যাওয়ার সংখ্যায় প্রথমে রয়েছে সৌদি আরব। দেশটিতে শুধুমাত্র গত এক মাসেই বাংলাদেশ থেকে নতুন ভিসা নিয়ে গেছেন ৭১ হাজার ৭২৫ জন।
২য় অবস্থানে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শ্রমিকবান্ধব দেশ ওমান। দেশটিতে গেছেন ১০ হাজার ৭০৭ জন। ৩য় অবস্থানে সংযুক্ত আরব আমিরাত গেছেন ৮ হাজার ৪১৯ জন। চতুর্থ অবস্থানে আছেন কাতার। দেশটিতে গেছেন ১ হাজার ৪৩৯ জন। ৫ম অবস্থানে কুয়েতে গেছেন ৪৬০ জন।
বর্তমান সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতার জন্যই মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে কর্মী নিয়োগের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিদেশ যাওয়ার ফলে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ হচ্ছে, সেই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিতেও যুক্ত হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। এদিকে জনশক্তি রফতানিতে গতি বাড়ায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এয়ারলাইন্সগুলো বাংলাদেশ থেকে পুরোপুরি ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসী আয়ের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনা কালে দেশের অর্থনীতি যখন স্থবির ছিল, সেই সঙ্কটের মধ্যেও প্রবাসী আয়ে রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। এদিকে চলতি বছরে নতুন শ্রমবাজারেও বাংলাদেশি কর্মী যাওয়া শুরু হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২২ সালে জনশক্তি রফতানিতে রেকর্ড হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন এই খাতের সংশ্লিষ্টরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post