করোনাভাইরাসের নতুন ধরনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ‘উদ্বেগের ধরন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। নতুন এ ধরনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওমিক্রন’, যা ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর নতুন ধরনটি বোতসোওয়ানা, বেলজিয়াম, হংকং ও ইসরায়েলে শনাক্ত হয়েছে।
ডব্লিউএইচও বলেছে, এ ধরনটি সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। কারণ সাউথ আফ্রিকা সব প্রদেশেই এ ধরনটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এমনকি প্রতিবেশী দেশগুলোতেও এই ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এই অবস্থায় আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যের ৫টি দেশ রয়েছে এই তালিকায়। ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, জর্ডান ও মরক্কো। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যও ইতোমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ও তার আশপাশের দেশগুলো থেকে ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পাশাপাশি, যেসব যাত্রী গত কয়েকদিনে দক্ষিণ আফ্রিকা বা তার পার্শ্ববর্তী কোনো দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে ফিরেছেন, তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই আদেশ জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডাও। আগামী সোমবার থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ফ্লাইট যোগাযোগ স্থগিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশ দু’টির সরকার। ভারত, জাপান, ইসরায়েল, তুরস্ক, সুইজারল্যান্ড এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতও কঠোর করেছে তাদের ভ্রমণ বিষয়ক বিধিনিষেধ।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘মোট ৭ টি দেশের সঙ্গে ফ্লাইট যোগাযোগ স্থগিত করা হয়েছে। সংক্রমণ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।’সৌদির ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় মধ্যে পড়া এই দেশগুলো হলো- দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, বোতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক, লেসোথো এবং এসওয়াতিনি।
সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- আপাতত খুব জরুরি কোনো কারণ ব্যতীত এই সাত দেশে সৌদি নাগরিকরা ভ্রমণ করতে পারবেন না। পাশাপাশি, তালিকাভুক্ত ৭ দেশের সেই সব যাত্রীকে সৌদিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে, যারা সৌদি আরবে প্রবেশের আগের দুই সপ্তাহ তৃতীয় কোনো দেশে কাটিয়েছেন এবং সৌদি আরবের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিধিনিষেধ মেনে চলতে কোনো প্রকার আপত্তি করবেন না।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা ডব্লিউএএম জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার সব যাত্রী ও দেশটি থেকে আসা সব ফ্লাইট ইউএইতে প্রবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। পাশাপাশি, ইউএই থেকেই কোনো যাত্রী বা ফ্লাইট যেতে পারবে না দক্ষিণ আফ্রিকায়। আগামী সোমবার থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে।
এছাড়া বাহরাইন, জর্ডান ও মরক্কো নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে সৌদি আরবকে অনুসরণ করেছে। অর্থাৎ, সৌদি আরব যে ৭ দেশের যাত্রী ও ফ্লাইটে প্রবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেই একই আদেশ দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বাকি দেশ গুলো।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post