ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা এবং করোনা সতর্কতার মধ্যদিয়ে আজ দিনব্যাপী ওমানে পালিত হচ্ছে ৫১তম জাতীয় দিবস। দেশটির মহামান্য সুলতান হাইতাম বিন তারিখের বিচক্ষণ মনোভাবে ও সিদ্ধান্তে সারা বিশ্বে ওমান এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে মনে করছেন দেশটির নাগরিকরা।
যদিও করোনা সংক্রমণ রোধে এবছর সকল ধরণের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তবুও এই দিনটিকে ঘিরে এক বিশেষ আয়োজনে মেতেছে দেশটির নাগরিক ও প্রবাসীরা। এই দিনটিকে ঘিরে ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতি প্রকাশ করেছে নাগরিক ও প্রবাসীরা।
দেশটির উত্তর আল বাতিনা প্রদেশের মোয়াদ আল সাইদি নামে এক ওমানি নাগরিক বলেন, “এই দিবসটি প্রতিটি ওমানি নাগরিকের হৃদয়ে এক বিশেষ স্থান দখল করে রেখেছে। এটি সকল নাগরিকের কাছে একটি মহান দিন।
আমি প্রয়াত মহামান্য সুলতান কাবুস বিন সাইদের বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও মহামান্য সুলতান হাইথাম বিন তারিকের প্রশংসা করি। তিনি দেশটিকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে প্রতিবেশী দেশ ও বিশ্বের মধ্যে এক অনন্য স্থানে নিয়ে গিয়েছেন।”
উত্তর আল বাতিনা প্রদেশের সাহাম এলাকার নায়েফ আল সিনানি নামের এক স্কুল ছাত্র জাতীয় দিবস উপলক্ষে তার অনুভূতিতে বলেন, “দিবসটিকে নিয়ে আমি বেশ আনন্দিত। আমি সুলতান কাবুস ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক শেষ করেছি। এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সুলতান হাইতাম বিন তারিকের বিচক্ষণ চিন্তাকে স্বাগত জানাই। আমরা অনেক দেশের তুলনায় খুবদ্রুত করোনা নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছি। আশা করছি ওমান দ্রুত করোনা মহামারি নিরূপণে সফল হবে।”
উত্তর আশ শারকিয়াহ প্রদেশের রশিদ আল হাকমানি নামে এক ওমানি নাগরিক বলেন, “আমরা উপসাগরীয়, আরব এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ওমানের অর্জন দেখেছি। সকল ক্ষেত্রেই ওমান সকল দেশ থেকে এগিয়ে। এই দিনটি উদযাপন করতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। আমি আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সাথে এই দিনটি পালন করছি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post