ওমানের বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাটের টিউশন ফি’তে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ডা. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, করোনা মহামারী সংক্রমণের কারণে এই বছর স্কুলের টিউশন ফিতে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, বিলম্বিত ফি ও অন্যান্য প্রদেয় জরিমানা ছাড় করা হবে। তিনি আরও নিশ্চিত করেন যে, বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের ও অভিভাবকদের যে কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে সর্বদা সহায়তা করবে।
ডা. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরীর বক্তব্য অনুসারে বোর্ড কর্তৃক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, অভিভাবকদের এই বছরের জুন পর্যন্ত টিউশন ফি প্রদান করতে হবে। জুলাইয়ের জন্য কোনও ফি দিতে হবে না। যে অভিভাবক এই ফি প্রদান করবেন তাদেরকে ১৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। তবে অবশ্যই ৪ জুনের মধ্যে সমস্ত বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। এই সুযোগ থাকবে আগামী ১১ জনু পর্যন্ত।
এছাড়াও স্কুল কর্তৃপক্ষ আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, দেশটির সরকারি ছুটি ব্যতীত পহেলা মে থেকে ১১ই জুন সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত স্কুলের কাউন্টার খোলা থাকবে এবং সুপ্রিম কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে কাউন্টার থেকে ফি পরিশোধের সুযোগ থাকবে। এছাড়াও সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমেও অনলাইনে বিল দেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানান ডা. সাজ্জাদ। একাউন্ট নাম্বার (1049-248914-001 of National Bank of Oman.)
আরও পড়ুনঃ ওমান প্রবাসীরা যেভাবে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করবেন
স্কুলটির চেয়ারম্যান এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমরা জানি, আমরা সকলেই এই সঙ্কটে ভুগছি, বিশেষত আমাদের নিম্নআয়ের মানুষ কল্পনার বাইরে সমস্যায় আছেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, অভিভাবকরা যদি ২০২০ সালের ১১ ই জুনের আগে সমস্ত বকেয়া পরিশোধ করেন, তারা মোট পরিমাণের উপর ১৫ শতাংশ ছাড় পাবে এবং সমস্ত জরিমানা থেকে অব্যাহতি পাবে।” তিনি আরও বলেন,”আমাদের ব্যবস্থাপনার পক্ষে, আমি সমাজের ধনী ও শিক্ষিত ব্যক্তি ও সংগঠনকে আর্থিক সহায়তার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। একই সাথে বাংলাদেশ স্কুল মাস্কটের শাখাগুলির প্রতি তাদের সহায়তার হাত বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post