ওমানে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা ব্যয়টি প্রায় একচেটিয়াভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলো। গত বৃহস্পতিবার ওমানের সুপ্রিম কমিটির এক বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে স্পন্সর/নিয়োগকর্তাদের প্রবাসী রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে হবে তবে করোনা পরীক্ষা সরকার থেকে ফ্রি দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর ওমানে প্রবাসীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলে আজ শনিবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আহমেদ আল সাইদী বিষয়টি খোলাসা করেন।
মন্ত্রী বলেন, ওমানে স্বাস্থ্য বীমা সরবরাহকারীরা করোনাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলে পলিসি-ধারীদের চিকিৎসা ব্যয় বীমা প্রতিষ্ঠানের বহন করা উচিত। দেশটিতে প্রবাসীদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করার জন্য নিয়োগকর্তার ওপর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে। এছাড়াও যে সকল প্রবাসীদের স্বাস্থ্য বীমা করা আছে তাদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে বীমা প্রতিষ্ঠান। এই ধরনের প্রবাসীদের চিকিৎসা ব্যয় সরকার বহন করতে বাধ্য থাকবে না বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আহমেদ আল সাইদী স্পষ্ট করে বলেছিলেন যে প্রবাসী রোগীদের জন্য মূলত করোনা পরীক্ষা ব্যয় বহন করবে সরকার। কিন্তু রোগীর চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে হবে নিয়োগকর্তাদের। পাশাপাশি বীমা সংস্থাগুলির এই চিকিৎসায় ভূমিকা রাখতে পারে। শুক্রবার একটি অফিসিয়াল পোস্টে আরও স্পষ্টতা ভাবে বলা হয় যে, “যে বাসিন্দা (প্রবাসী) যার স্পন্সর রয়েছে, তার পৃষ্ঠপোষক চিকিৎসার ব্যয় বহন করবেন; যে বাসিন্দার স্বাস্থ্য বীমা রয়েছে, বীমা প্রতিষ্ঠান চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে। এই বিষয়টি এখন বীমা সংস্থাগুলির সাথে আলোচনা করা হচ্ছে। তবে কোনও বাসিন্দা/প্রবাসী যদি কোনও কারণে চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে না পারে তাহলে ওমান সরকার তার ব্যয় বহন করবে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, মহামারী সাধারণত একটি আদর্শ হিসাবে স্বাস্থ্য বীমা কভারেজ থেকে বাদ দেওয়া হয়। যদিও অতিরিক্ত বীমা প্রিমিয়াম প্রদানের বিরুদ্ধে বিমাকারীদের ব্যতিক্রম করা যেতে পারে। যাই হোক, যখন কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ একটি জাতীয় বিপর্যয়ের সমতুল্য হয়, তখন কর্তৃপক্ষের পক্ষে রাষ্ট্রের উপর বোঝা কমিয়ে আনতে সহায়তা দেওয়ার জন্য বিমাকারীদের কাছে পৌঁছানোই সাধারণ বিষয়।
আরও পড়ুনঃ ওমান প্রবাসীরা যেভাবে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করবেন
ওমানে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলি সরকারের উপর মহামারী চিকিৎসার ব্যয় ভার হ্রাস করার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ভূমিকা পালন করতে পারে। এমন উদাহরণ এদেশটিতে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কয়েক দশক আগে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় গনু যখন ওমানে আঘাত এনেছিলো, তখন স্থানীয় বিমাকারীরা এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলো। তাই এবার এই মহামারিতে সরকারের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা দরকার বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন মতামত জানিয়েছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post