ঘূর্ণিঝড় শাহীনে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিক ও প্রবাসীদের দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে ও সকল নাগরিকের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিতে দেশটির সরকার বদ্ধপরিকর। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সকল নাগরিকের উদ্দেশ্যে গতকাল (সোমবার) দেশটির মহামান্য সুলতান হাইথাম বিন তারিক একটি রাজকীয় বক্তব্য দিয়েছেন। প্রবাস টাইমের পাঠকদের কাছে সেই বক্তব্য তুলে ধরা হলো:
প্রিয় নাগরিক,
আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ আল বাতিনাহ প্রদেশে ঘূর্ণিঝড় শাহীনের কারণে নাগরিক ও বাসিন্দাদের ঘড়-বাড়ী ও নিজস্ব সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও প্রদেশ দুইটিতে অবকাঠামোগত প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের শুরু থেকেই আমরা প্রতি মুহূর্তেই ক্ষতিগ্রস্ত মোকাবেলায় তৈরি ছিলাম।
সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তিনি ওমানকে সুরক্ষিত রেখেছেন এবং নাগরিক ও বাসিন্দাদের বিভিন্ন ক্ষতি থেকে রক্ষা করেছেন। দেশের প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল সেচ্ছাসেবীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ। যুগে যুগে এই জাতির আত্মত্যাগে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবে।
ঘূর্ণিঝড় শাহীনে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিক ও বাসিন্দাদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন,
ওমানের নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদানে সর্বশক্তিমান আল্লাহ’র প্রশংসা করি এবং যারা এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের সাহায্য সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি ওমান সরকার কৃতজ্ঞ। আমরা আশা করি ভবিষ্যতেও আমরা সকল প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো।
ইতিমধ্যেই আমরা জনজীবনে স্বাভাবিকতায় ফিরিয়ে আনার জন্য এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মৌলিক চাহিদা পূরণে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি খুবদ্রুত আমরা অবকাঠামো ক্ষয়ক্ষতি পুনর্নির্মাণ করতে সক্ষম হবো।
এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলি দেশের সকল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে কাজ শুরু করেছে। দেশের প্রতিটি অংশে নাগরিকদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করবো। মন্ত্রী পরিষদ এই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় শাহীন পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এই কমিটি নাগরিকদের বাড়িঘর ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সহায়তা প্রদান করবে। সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগগুলিকে এই নতুন কমিটির সকল কাজকে সহজতর করতে সহযোগিতা করবে।
কমিটির সকল কাজ আমাদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আসবে এবং আমরা কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করবো। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে একটি জাতীয় তহবিল (এনএফই) প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসাথে বিশ্বের বিভিন্ন বন্ধু রাষ্ট্রের নেতাদের সংহতি ও সহানুভূতি প্রকাশে আমরা কৃতজ্ঞ জানাচ্ছি।
আমরা দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের যারা আমাদের এই সংকট মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছেন তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের দ্রুত প্রতিক্রিয়ার জন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।
বিশেষ করে, আমরা জরুরি ব্যবস্থাপনা জাতীয় কমিশন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, রয়েল ওমান পুলিশ, নিরাপত্তা পরিষেবা, নাগরিক ও বাসিন্দা, আশ্রয় ও ত্রাণ সেক্টর, সহায়তা পরিষেবা এবং বেসরকারি খাতের বিভিন্ন সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবক দলকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post