হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করে গত সাতদিনে সংযুক্ত আরব আমিরাত গেছেন আট হাজার প্রবাসীকর্মী ও যাত্রী। এরা সবাই করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হন। তবে ফ্লাইট ছাড়ার ছয় ঘণ্টা আগে নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ আসার কারণে সাত যাত্রী আমিরাত যেতে পারেননি।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছয়টি ফ্লাইটে আরও এক হাজার ৯৯৯ জন আমিরাত গেছেন। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) এ তথ্য জানান শাহজালাল বিমানবন্দরের এয়ারপোর্ট হেলথ ডেস্ক অফিসার ডা. হাসান মো. কাওসার। তিনি জানান, গত ৩০ অক্টোবর থেকে আজ পর্যন্ত বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদনপ্রাপ্ত ছয়টি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ৮ হাজার সাতজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এর মধ্যে ৪৮ ঘণ্টা আগে করা নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ থাকলেও ফ্লাইট ছাড়ার ছয় ঘণ্টা আগে করা পরীক্ষায় সাতজনের পজিটিভ আসায় তারা যেতে পারেনি। শুরুর দিকে এক হাজার ৬০০ টাকা ফি পরিশোধ করে করোনা পরীক্ষা করা হলেও পরবর্তীতে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য তা বিনামূল্যে করে দেয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী যাত্রীদের বেশকিছু বিষয় লক্ষ রাখতে বলা হয়েছে। যেমন: দেশটিতে প্রবেশ করতে হলে ফ্লাইটের ৪৮ ঘন্টা আগে করোনা পরীক্ষা করা। এরপর বিমানবন্দরে ফ্লাইট ছাড়ার ৬ ঘন্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা করতে হয়। তবে কোন ভাবেই চালাকি করে ৬ ঘন্টার আগে পরীক্ষা করা যাবেনা। আর কেউ যদি ৬ ঘন্টা আগে করোনা পরিক্ষা করান, তাহলে কোন কাজে আসবে না। যাত্রীর ফ্লাইটের তথ্য ল্যাব ও প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের কর্মীদের অবহিত করতে হবে।
পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট আসলে কেবলমাত্র আরব আমিরাত যাওয়া যাবে। যারা আরব আমিরাতে ট্রানজিট হয়ে অন্য দেশে যাবেন তাদের ঢাকায় বিমানবন্দরের করোনা টেস্ট করার প্রয়োজন নেই। অন্য দেশের যাত্রীদেরও বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করতে হয় না।
আরব আমিরাতগামী যাত্রীদের ফ্লাইট ছাড়ার কমপক্ষে ৭/৮ ঘন্টা আগে বিমানবন্দরে আসতে হবে। বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে হবে বহির্গমন টার্মিনালের ১ নম্বর গেট দিয়ে। কেউ যদি সময়মত বিমানবন্দরে না আসেন তাহলে ফ্লাইট মিস করবেন। যারা বৈধ প্রবাসী কর্মী তাদের করোনা পরীক্ষার ফি সরকার পরিশোধ করবে। আর যারা প্রবাসী কর্মী নন, তাদের ১৬০০ টাকা পরীক্ষার ফি পরিশোধ করতে হবে। যেহেতু দীর্ঘ সময় বিমানবন্দরে অবস্থান করতে হবে তাই সাথে খাবার পানি ও শুকনো খাবার রাখতে পারেন।
করোনার ভাইরাসের মহামারির কারণে ১২ মে থেকে বাংলাদেশিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই সময়ের মধ্যে যাদের ফ্লাইট ছিলো, তারা এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে আগের টিকিট রি- ইস্যু করে নিতে পারবেন। নতুন করে টিকিট কেনার প্রয়োজন নেই। যদি কোন ট্রাভেল/টিকিটিং এজেন্সি নিজেদের টিকিট বিক্রি করতে যাত্রীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে নতুন টিকিট কিনতে বাধ্য করে, তাহলে ওইসব ট্রাভেল এজেন্সির বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ দিন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post