স্বরণকালের এক ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে ওমান। দেশটিতে আজ আঘাত হানতে যাচ্ছে হ্যারিক্যান “শাহিন”। ইতিমধ্যেই মাস্কাট থেকে ৮২ কিমি দূরে অবস্থান করছে শাহিন। এর প্রভাবে সাগরের অবস্থা ভয়াবহ উত্তাল।
মাস্কাটের রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে পানিতে। দুর্যোগের কারণে মাস্কাট থেকে অসংখ্য ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। জরুরী উদ্ধারে প্রস্তুত করা হয়েছে বিশেষ টিম। নাগরিক এবং প্রবাসীদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে ওমান।
যেকোনো জরুরী প্রয়োজনে ৯৯৯৯ এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। অতি-প্রয়োজন ব্যতীত ঘরের বাহিরে না যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মাস্কাটের সকল পর্যটন হোটেলে খুলে দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন দেশের সকল নাগরিক ও প্রবাসীদের সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির মহামান্য সুলতান হাইতাম বিন তারিক। ঘূর্ণিঝড় শাহিনে ক্ষতিগ্রস্তের পরিমাণ কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য সকল মন্ত্রণালয়কে সঠিকভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন সুলতান। তিনি বলেন,“ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন নাগরিদের দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে আসতে হবে। এছাড়াও ঝড় চলাকালীন সকল নাগরিক যেন সর্তক থাকে সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে, মাস্কাট প্রদেশের সকল হোটেল ও পর্যটন প্রতিষ্ঠানকে বিনামূল্যে হোটেল রুম প্রদান করার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির ঐতিহ্য ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সহযোগিতায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “আসন্ন বিপর্যয় প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে মাস্কাট প্রদেশের সকল হোটেল ও আবাসন কেন্দ্রগুলোকে ঘূর্ণিঝড় শাহিনে বিপর্যস্ত বাসিন্দাদের আশ্রয়ে দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে আহ্বান করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় হেরিটেজ অ্যান্ড ট্যুরিজম খাতের সকল প্রতিষ্ঠানকে আসন্ন বিপর্যয় প্রতিরোধে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান।
ঘূর্ণিঝড় শাহিনে বিপর্যস্ত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় এরই মধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মন্ত্রণালয় মাস্কাটের সকল হোটেল ও পর্যটন প্রতিষ্ঠানকে দেশের বিভিন্ন সমস্যায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মানসিকতার প্রশংসা করে। দেশের সকল নাগরিক ও দর্শনার্থীদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার জন্যও অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট কমিটি ঘূর্ণিঝড় শাহিনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন বাসিন্দাদের নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া আহ্বান জানিয়েছে। এর মধ্যে সাহাম ও বারকা অঞ্চলের বাসিন্দাদের এবং মাস্কাট ও দক্ষিণ আশ শারকিয়াহ প্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
কমিটি বলেছে: “ঘূর্ণিঝড় শাহিনের প্রভাবে দেশে ভারী বৃষ্টিপাত ও প্রবল বাতাসের পূর্বাভাস রয়েছে। তাই দেশের যেসকল এলাকার বাসিন্দারা এই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের সরিয়ে নিতে হবে। যে সকল নাগরিক আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারছেন না তারা ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্টের পরিচালিত তথ্য কেন্দ্রের নাম্বারে যোগাযোগ করুন। যোগাযোগের ঠিকানা ২৪৫২১৬৬৬ ”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post