ওমানে যেসকল প্রবাসী ইউসফ্রাক্ট স্কিমের আওতায় ফ্ল্যাট কিনেছেন তারা দেশটি থেকে চলে গেলেও নিজেদের সম্পত্তির মালিকানা অব্যাহত রাখতে পারবেন। সম্প্রতি দেশটির গৃহায়ন ও নগর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে ফ্লাট কেনা প্রবাসী নাগরিকরা দেশ ছেড়ে চলে গেলেও তাদের ফ্লাটের মালিকানা থাকবে। ভবিষ্যতে মন্ত্রণালয় প্রবাসীদের বিনিয়োগে নতুন জায়গা তৈরির লক্ষ্যেই এই নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন উক্ত কর্মকর্তা।
ওমানের যেসব প্রদেশে প্রবাসীরা বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন ইউসফ্রাক্ট স্কিমের আওতায় ক্রয় করতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে আমরাতের আল হাসিয়াহ, আল নাহদা সিটি, আল আমিরাত আল মুহাজ। বৌশারের মিসফাহ ফেজ ২, ঘালা হাইটস-১ ও ২ নম্বর সেক্টর, বৌশারের আল ওয়াতিয়াহ ফেজ ২, আল খয়ের ফেজ ২। সীব এলাকার আল মাওয়ালেহ, আল খুদ ও আল মাবেলা অন্যতম।
আরো পড়ুনঃ
করোনা রোগীকে স্পর্শ করলেই করোনা হয় না
ইউসফ্রাক্ট স্কিমের আওতায় ক্রয়কৃত ভবন বা বাড়ি বিক্রয়ে বেশ কয়েকটি শর্ত মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে গৃহায়ন ও নগর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। প্রথমত, এই স্কিমের আওতায় নির্ধারিত এলাকায় ভবন ক্রয় করা থাকতে হবে। ভবনটি এমওএইচইউপি’র লাইসেন্স প্রাপ্ত হতে হবে এবং বহুতল আবাসিক/বাণিজ্যিক ভবন হিসাবে ডিজাইন করা বা ভাগ করা থাকতে হবে। এটি না করা পর্যন্ত হাউজিং ইউনিট হিসেবে ভবন বিক্রি করা যাবে না।
দ্বিতীয়ত, ভবনটি কমপক্ষে চার তলা হতে হবে। প্রতিটি ফ্ল্যাটে কমপক্ষে দুটি কক্ষ থাকতে হবে এবং বিল্ডিং কমপ্রেশন সার্টিফিকেট থাকতে হবে। তৃতীয়ত, একবার কোনো ভবন ইউসফ্রাক্ট স্কিমের আওতায় বিক্রি হয়ে গেলে, সম্পত্তি বিক্রেতাকে এই স্কিমের সাথে নিবন্ধন করার সময় ইউনিটের মূল্যের তিন শতাংশ ফি দিতে হবে এবং ক্রেতাকে অতিরিক্ত খরচ করতে হবে পাঁচ শতাংশ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post