শনিবার (১৪ আগস্ট) কুয়েতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আরো ৩ বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেশটির কৃষি অঞ্চল আব্দালি এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিন জন বাংলাদেশি মারা যান। জানাগেছে, শনিবার (১৪ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে শ্রমিকদের আবাসস্থলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই ওই এলাকায় কৃষি কাজ করতেন।
নিহতদের দেশের বাড়ি সিলেট অঞ্চলে। এদের মধ্যে খুরশিদ আলী (৪৮) গোয়াইনঘাট উপজেলার বাঘবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০ বছর ধরে একই কফিলের কাজ করছিলেন। ২য় জনের নাম কামাল উদ্দিন (৫১), তিনি মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার মাগুরা গ্রামের বাসিন্দা।
কামাল প্রায় ২৪ বছর ধরে একই কফিলের কাজ করছিলেন। ৩য় জনের নাম মোহাম্মদ ইসলাম (৩২)। তিনি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বাটিভারা ফাইত গ্রামের বাসিন্দা। মোহাম্মদ ইসলাম প্রায় ৬ বছর ধরে একই কফিলের কাজ করছিলেন।
অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস কিংবা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোহাম্মদ আলকাছ নামে আরেক প্রবাসী বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বর্তমানে তিনি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
মর্মান্তিক এই ঘটনার খবর পেয়ে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান, শ্রম কাউন্সেলর আবুল হুসেন, প্রথম সচিব দূতালয় প্রধান নিয়াজ মোর্শেদ, কল্যাণ সহকারী তৌহিদ ইসলাম দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তারা নিহতদের মরদেহ দেশে পাঠানোর ও আহতদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরো পড়ুনঃ
যে শর্তে এনওসি সুবিধা পাবেন ওমান প্রবাসীরা
করোনা রোগীকে স্পর্শ করলেই করোনা হয় না
যেভাবে সরকারি অনুদান পাবেন প্রবাসীরা
ওমান ও বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত করোনা ভ্যাকসিনের তালিকা
এদিকে, মালয়েশিয়ায় নিরাপত্তা কর্মীর অবহেলায় মালয়েশিয়ার একটি শ্রমিক হোস্টেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকা এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেলাকা প্রদেশের মুকিম তানজুং ক্লিংয়ের পান্তাই পুতেরি এলাকার একটি শ্রমিক হোস্টেলে ওই বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, হোস্টেলের গেটের ফটকে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা অসুস্থ বাংলাদেশিকে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হলে হোস্টেলের কোয়ারেন্টাইনে থাকা অন্তত ছয় শতাধিক বাংলাদেশিসহ বিদেশি শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এদিকে মেলাকা তেঙ্গাহ জেলা পুলিশের প্রধান সহকারী কমিশনার আফজানিজার আহমাদ বলেন, নিহত বাংলাদেশির সহকর্মীরা ইমার্জেন্সি বিভাগে ফোন করে। খবর পেয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কয়েকজন কর্মী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে হাজির হয় হোস্টেলে। পরে অসুস্থ বাংলাদেশিকে হোস্টেল থেকে নামিয়ে আনার সময় মৃত্যু হয়।
এ সময় এক দল বাংলাদেশিসহ বিদেশি শ্রমিকরা জড়ো হয়ে হইচই শুরু করলে হোস্টেলের প্রধান ফটকে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার নিরাপত্তা রক্ষীদের লক্ষ্য করে পাথর ও ঢিল নিক্ষেপ করলে গার্ড হাউসের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, ফায়ার অ্যালার্ম বক্স, নিরাপত্তা রক্ষীদের একটি মোটরসাইকেল ও অ্যাম্বুলেন্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post