তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন)’-এর স্বীকৃতি পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ। বাংলাদেশ থেকে দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই স্বীকৃতি পেলো প্রতিষ্ঠানটি। রিউমর স্ক্যানারকে ২৮ জুলাই এই স্বীকৃতি দিয়েছে পয়েন্টার ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজমের অঙ্গ সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন)’। বিশ্বব্যাপী স্বাধীন ও মানসম্মত তথ্য যাচাই কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে পয়েন্টারের অঙ্গসংগঠন হিসেবে ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে আইএফসিএন।
আরো পড়ুনঃ
করোনা রোগীকে স্পর্শ করলেই করোনা হয় না
যেভাবে সরকারি অনুদান পাবেন প্রবাসীরা
ওমান ও বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত করোনা ভ্যাকসিনের তালিকা
আইএফসিএন পাঁচটি মূল নীতির ভিত্তিতে কোনো তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। এগুলো হলো:
নিরপেক্ষতা এবং ন্যায্যতা
তথ্যের উৎসের গুণগতমান ও স্বচ্ছতা
অর্থায়ন ও সংস্থার স্বচ্ছতা
যাচাইপদ্ধতির মান এবং স্বচ্ছতা
উন্মুক্ত এবং সৎ সংশোধন নীতি
০৫ টি মূল নীতি এবং ৩১ টি মানদণ্ড মেনে চলার প্রমাণ স্বাপেক্ষে ১০১ তম ভেরিফাইড সিগনেটরি হিসেবে তথ্য যাচাইয়ের বৈশ্বিক মানচিত্রে রিউমর স্ক্যানার এখন এপি, এএফপি এবং রয়টার্সের মত বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের সাথে একই কাতারে দাঁড়িয়ে।
ওই পাঁচ মূল নীতি এবং ৩১ টি মানদণ্ড মেনে চলার প্রমাণ দিয়ে দেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার কথা জানিয়েছে রিউমর স্ক্যানার। গেল বছরের মার্চ মাসে দেশে যখন করোনা মহামারীর প্রথম ধাক্কা লাগে, ওই সময়েই ব্যক্তি উদ্যোগে রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করেছিলো বলে জানিয়েছেন এর প্রতিষ্ঠাতা সুমন আহমেদ। লকডাউন চলাকালীন মানুষ যখন ঘরবন্দী, ওই সময়ে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে শুরু হয়েছিলো মহামারী নিয়ে ভুয়া খবর আর গুজবের ছড়াছড়ি। প্রতিষ্ঠা পরবর্তী প্রথম দুই মাসেই কোভিড-১৯ নিয়ে ২৫টি গুজব চিহ্নিত করার কথা জানান তিনি।
“প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এখন পর্যন্ত রিউমর স্ক্যানার টিম মোট ২০০টি গুজব শনাক্ত করেছে এবং আমাদের ফ্যাক্ট চেকিং কন্টেন্টগুলো ৮০ লক্ষ বারেরও বেশি ইন্টারনেটে দেখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক এই স্বীকৃতি আমাদের সার্বিক কার্যক্রমকে আগামীতে আরো বেগবান করবে”, বলেন সুমন আহমেদ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post