সৌদি আরবে বাংলাদেশি অভিবাসী এবং যারা নতুন করে যাবেন তাদের জন্য চারটি কোম্পানির করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সরকার। এর মধ্যে যেকোনো একটি গ্রহণ করা যাবে। সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি অভিবাসী এবং যারা দেশটিতে নতুন করে আসবেন তাদের জন্য ফাইজার বায়োনটেক (২ ডোজ), অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা (২ ডোজ), মর্ডানা (২ ডোজ) , জনসন অ্যান্ড জনসনের (১ ডোজ) টিকার অনুমোদন দিয়েছে। এর যেকোনো একটি কোম্পানির টিকার ডোজ নিলে তা গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
টিকা গ্রহণ করা হলেও ভ্রমণের পূর্বে (৭২ ঘণ্টার মধ্যে) অবশ্যই পিসিআর টেস্ট করে নেগেটিভ সনদ সঙ্গে নিতে হবে। টিকার সম্পূর্ণ ডোজ গ্রহণ ছাড়া কোনো বাংলাদেশি অভিবাসী সৌদি আরবে প্রবেশ করলে তাকে বাধ্যতামূলক সাত দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
- ওমানের অধিকাংশ প্রদেশে করোনায় মৃত শূন্যের কোঠায়
- ওমান ও বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত করোনা ভ্যাকসিনের তালিকা
- ভিসা নিয়ে সুখবর দিলো ওমান শ্রম মন্ত্রণালয়
এদিকে ওমান সরকার এখন পর্যন্ত তাদের দেশে প্রবাসীদের ফিরতে হলে কোন ভ্যাকসিন নিতে হবে তা জানায়নি। তবে ইতিপূর্বে ওমান সরকার মোট ৪টি দেশের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, স্পুটনিক ভি অথবা চাইনিজ কোম্পানির সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন।
দেশে আটকেপড়া ওমান প্রবাসীরা চাইলে এই মুহূর্তে উপরে উল্লেখিত ৪টি ভ্যাকসিনের যেকোনো একটি নিতে পারেন অথবা ওমান সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষা করতে পারেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানাগেছে, ঈদের পর দেশের এবং ওমানের করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে নতুন আপডেট আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post