গত বছর দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক বিদেশ সফর শুরু করেছেন ওমানের সুলতান হাইতাম বিন তারিক। রবিবার (১১-জুলাই) দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সৌদি আরবের লোহিত সাগর তীরবর্তী নিওম শহরে পৌঁছেছেন তিনি। এই সফরে ইয়েমেন যুদ্ধ ছাড়াও দুই দেশের অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সুলতান কাবুস কুইজের ফলাফলঃ https://www.probashtime.net/sq/
ওমানের সুলতানকে স্বাগত জানান সৌদি বাদশাহ সালমান। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর এটাই ৮৫ বছর বয়সী সৌদি বাদশাহর প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ। এছাড়াও ওমানের সুলতানকে স্বাগত জানানোর সময় উপস্থিত ছিলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
সেইসাথে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের সাথে গতকাল (১১-জুলাই) রাতে বৈঠক করেন ওমানের সুলতান হাইথাম বিন তারেক। বৈঠকের শুরুতে সৌদি বাদশাহ সুলতানের প্রতি উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে দু’দেশের সম্পর্কের প্রশংসা করেন। বাদশা সর্বক্ষেত্রে অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, ‘‘এই সফর দুই দেশের দ্বিপাক্ষীয় সহযোগিতা এবং যৌথ সমন্বয়কে আরো তরান্বিত করবে। একই সাথে ওমানী ও সৌদি জনগণের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নের নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত হবে।”
সম্প্রতি ঋণ জর্জরিত ওমানে বেকারত্বের বিরুদ্ধে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই দেশটির সুলতানের প্রথম বড় কোনও চ্যালেঞ্জ। তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যয় সংকোচনসহ বেশ কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন সুলতান।
ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সায়িদ বদর আল-বুসাইদি সৌদির একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তার দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে একটি যৌথ কাউন্সিল গঠনে আগ্রহী। এই কাউন্সিলের মাধ্যমে বিদেশি চুক্তি পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে সংযোগস্থাপনকারী একটি সড়ক নির্মাণসহ আরও কয়েকটি অবকাঠামো প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানাগেছে সূত্রে। দুইদিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে আজ (১২-জুলাই) ওমানের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে ওমান এসে পৌছান সুলতান হাইথাম বিন তারেক।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post