চাবুক মারার শাস্তি উঠিয়ে নেয়া হচ্ছে সৌদি আরব থেকে। দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চাবুক মারার বদলে কারাদণ্ড কিংবা জরিমানার বিধান করা হবে। বিবিসি, রয়টার্স ও আল-আরাবিয়াহর খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।
বলা হয়েছে, সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও তার ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানের মানবাধিকার সংস্কারের অংশ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনসহ প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
ইসলাম অবমাননা ও সাইবার অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে এক হাজার বার চাবুক মারার সাজা ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ ও তার মৃতপ্রায় অবস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সেই সাজার আংশিক মওকুফ করা হয়েছিল। এসব ঘটনা সৌদি আরবের ভাবমর্যাদার জন্য ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন বিবিসির আরব বিষয়ক সম্পাদক সেবাস্তিয়ান উসার।
মানবাধিকারের সবচেয়ে বাজে রেকর্ড সৌদির বলে দাবি করেছেন সমালোচকেরা। দেশটিতে সর্বশেষ চাবুক মারার ঘটনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয় ২০১৫ সালে। তখন ব্লগার রাফি বাদাওয়িকে প্রকাশ্যে চাবুক মারার ঘটনা ঘটেছিল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post