ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিশেষত কলকাতা, এক সংকটময় অবস্থার মুখোমুখি। বাংলাদেশি পর্যটকদের উপর নির্ভরশীল কলকাতার ব্যবসা বর্তমানে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন। ভিসা জটিলতার কারণে বাংলাদেশি পর্যটকরা কলকাতা যাওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় সেখানে দেখা দিয়েছে হাহাকার।
কলকাতার হাসপাতালগুলো এখন প্রায় ফাঁকা। চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশি রোগীদের না আসায় ডাক্তার, নার্স, ও আবাসন খাতের কর্মীরা বেকার হয়ে বসে আছেন। নিউ মার্কেটসহ অন্যান্য বাজারগুলোতেও বাংলাদেশি ক্রেতাদের অভাবে দোকানদাররা বিপাকে পড়েছেন। অনেক ব্যবসায়ী ইতোমধ্যে তাদের দোকান গুটিয়ে ফেলেছেন।
এক ব্যবসায়ী আক্ষেপ করে বলেন, “আমাদের অধিকাংশ ক্রেতা বাংলাদেশি। তাদের অভাবে আমরা বেঁচে থাকতে পারছি না।”
মোদি সরকারের বাংলাদেশবিরোধী নীতিমালা এবং প্রোপাগান্ডা উল্টো ভারতের কপালে দুঃখ ডেকে এনেছে। কলকাতার গণমাধ্যমগুলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশি ক্রেতা ও পর্যটকদের অভাবে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল হয়ে পড়েছে।
ভারতের জনপ্রিয় গণমাধ্যম ‘প্রথম কলকাতা’ জানায়, এই সংকট মোদি সরকারের নীতির ব্যর্থতাকে নগ্নভাবে উন্মোচিত করেছে। বাংলাদেশবিরোধী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ভারত নিজেই বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে।
এই পরিস্থিতি ভারতের কূটনীতিকদের বাংলাদেশি সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছে। সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্র বাংলাদেশ সফর করে দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
ভারতের ব্যবসায়ী ও কৃষকরা এই বিপর্যয়ের জন্য সরাসরি মোদি সরকার এবং সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জনকে দায়ী করছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে শত্রুতার পথ বেছে নেওয়া যে ভুল ছিল, তা এখন পরিষ্কার। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারতীয়দের একটি বড় অংশ সরকারের নীতিতে পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছেন।
কলকাতার ব্যবসায়ীদের আর্তনাদ এবং বাংলাদেশি পর্যটকদের অভাবে ভারতের অর্থনীতির এই বিপর্যয় প্রমাণ করে, ভালো সম্পর্ক ছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। ভারত এখন বোঝার চেষ্টা করছে, বাংলাদেশবিরোধী পদক্ষেপ তাদের নিজেরই সর্বনাশ ডেকে আনছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post