ভারতের কারাগারে আটক থাকা বাংলাদেশের ১২ জেলেকে মুক্তি দিয়েছে দেশটির সরকার। গতকাল মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশপরগনা জেলার কাকদ্বীপ মহকুমায় বিডিও এবং কাকদ্বীপ থানার ওসির উপস্থিতিতে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা সংশোধনাগার থেকে ওই ১২ জেলেকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রায় তিন মাস আগে ওই ১২ জেলে ভারতের জলসীমায় প্রবেশ করে আটক হন। এর পর তারা জেলবন্দি ছিলেন।
ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের পারাদ্বীপে আটক অবস্থায় আছেন ৭৮ জন বাংলাদেশি জেলে। সম্প্রতি ভারতীয় কোস্টগার্ড আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বাউন্ডারি লাইনের কাছ থেকে এফভি লায়লা-২ ও এফভি মেঘনা-৫ নামে দুটি ট্রলারসহ এই জেলেদের আটক করে নিয়ে যায়। এই ৭৮ জেলেকে ফেরাতে উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে।
আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘনের অপরাধে বিভিন্ন সময়ে আটক ৯৫ জন পশ্চিমবঙ্গের জেলে বন্দি রয়েছেন বাংলাদেশের কারাগারে। এর মধ্যে প্রায় দুই মাস আগে পশ্চিমবঙ্গের কাকদ্বীপের ছয়টি ট্রলার আটক করেছিল বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী। সে সময় একসঙ্গে আটক করা হয় ৭৯ জনকে। পাশাপাশি উড়িষ্যার ৩১ জন জেলেও আটক আছেন বাংলাদেশের কারাগারে। গত ১৬ অক্টোবর এই জেলেরা মাছ ধরার সময় ভুলবশত বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করেন। এখনও বাংলাদেশ সরকার তাদের মুক্তি দেয়নি। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র বলছে, কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে তাদের প্রত্যেককে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
এদিকে আটক বাংলাদেশি জেলেদের দেশে ফেরার বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা করেছে উড়িষ্যা সামুদ্রিক মৎস্য উৎপাদক সমিতি। তাদের দাবি, বিনাশর্তে আটক বাংলাদেশি জেলেদের মুক্তি নয়। তাদের পরিবর্তে ফেরত দিতে হবে বাংলাদেশের কারাগারে আটক ভারতীয় জেলেদের।
সূত্র বলছে, বাংলাদেশের ১২ জেলের মুক্তির পর শিগগির পশ্চিমবঙ্গের ৯৫ জেলেরও মুক্তি মিলতে পারে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের তরফ থেকে সাড়া না এলে ভারত কী পদক্ষেপ নেবে, তা নিয়েও চলছে আলোচনা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post