গণঅভ্যুত্থানের সময় গুলিবিদ্ধ ১১ বছর বয়সী মাদ্রাসাশিক্ষার্থী আরাফাত (১২) আর বেঁচে নেই। রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) দীর্ঘ সাড়ে চার মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার (২২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় তার মৃত্যু হয়।
আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সেলের সম্পাদক জাহিদ আহসান এক শোকবার্তায় আরাফাতের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শোকবার্তায় বলা হয়েছে, “শহীদের মিছিল ভারি করে আরাফাত আমাদের ছেড়ে গেল। গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।”
তিনি আরও বলেন, “শহীদদের রক্ত আমাদের নতুন বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে অনুপ্রেরণা জোগায়। শহীদ আরাফাতের মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত, কিন্তু সংকল্পবদ্ধ। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
আরাফাতের পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৫ আগস্ট উত্তরার আজমপুর পূর্ব থানার সামনে গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। প্রথমে তাকে আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখান থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। সাড়ে চার মাসের দীর্ঘ লড়াইয়ের পর রবিবার রাতে তার মৃত্যু ঘটে।
শহীদ আরাফাতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post