দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানচিত্রে নতুন করে তৈরি হচ্ছে অস্থিরতার ছাপ। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো, যেগুলো “সেভেন সিস্টার্স” নামে পরিচিত, এখন ভাঙনের মুখে। বিশেষত মণিপুর রাজ্যের পরিস্থিতি ক্রমশই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
মণিপুরে বিদ্রোহীদের হাতে মার্কিন অস্ত্র যেমন রকেট লঞ্চার, স্নাইপার রাইফেল, এম-৬০ এবং এম-৪ এর মতো অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল দেখা যাচ্ছে। যেখানে রাজ্যজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ, সেখানেও তারা ব্যবহার করছে ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট। এই আধুনিক প্রযুক্তি এবং অস্ত্র বিদ্রোহীদের হাতে কীভাবে পৌঁছাচ্ছে, তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন উঠছে।
মণিপুরসহ সেভেন সিস্টার্স অঞ্চলে একটি খ্রিস্টান অধ্যুষিত রাষ্ট্র গঠনের গুঞ্জন নতুন নয়। এই অস্ত্র ও প্রযুক্তির উপস্থিতি সেই গুঞ্জনকে আরও বেগবান করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পূর্ব তিমুরের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এখানেও।
ভারতের মণিপুর রাজ্যে কুকি ও মেইত জনজাতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২৬০ জন নিহত এবং ৬০,০০০-এর বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোদি সরকার এক লক্ষের বেশি সেনা মোতায়েন করলেও শান্তি ফিরছে না। বরং মিয়ানমার থেকে আসা বিদ্রোহীরা সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিয়ানমার এবং মণিপুরের এই অস্থিরতার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ভারতের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্রোহীদের কাছে আধুনিক অস্ত্র ও ইন্টারনেট পৌঁছানোর বিষয়টি গভীর তদন্তের দাবি রাখে।
ভারতের পূর্বাঞ্চলে একটি নতুন খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনা এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। ভবিষ্যতের দিনগুলোতে এই পরিস্থিতি কী মোড় নেয়, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের বিষয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post