বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে রাশিয়ায় পালিয়ে যাওয়া সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্ট থেকে কোনো সোনা সরিয়ে নিতে পারেননি। দেশটির ভল্টে এখনও ২৬ টন সোনা সংরক্ষিত রয়েছে, যা ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময়ের সঙ্গে একই পরিমাণ। চারটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বর্তমানে ২৫.৮ টন সোনা রয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ২২০ কোটি ডলার। তবে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অত্যন্ত কম, যা নগদে মাত্র ২০০ মিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছেন একটি সূত্র।
যুদ্ধের আগে, ২০১১ সালের শেষ নাগাদ সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু যুদ্ধকালীন খাদ্য, জ্বালানি এবং সামরিক ব্যয়ের জন্য রিজার্ভ দ্রুত ফুরিয়ে গেছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ভল্টটি বোমা প্রতিরোধক এবং এটি খোলার জন্য তিনটি চাবি ও একটি জটিল কোড প্রয়োজন, যা আলাদা ব্যক্তিদের কাছে রাখা হয়। সিরিয়ার নতুন প্রশাসন সম্প্রতি এই ভল্ট পরিদর্শন করেছে এবং নিশ্চিত করেছে যে সোনা অক্ষত রয়েছে।
সিরিয়ার তেল ক্ষেত্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারানো, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা, এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সিরিয়ার মুদ্রা সিরিয়ান পাউন্ডের মান যুদ্ধ-পূর্ব ৫০ পাউন্ড থেকে প্রতি ডলারে প্রায় ১২,৫০০ পাউন্ডে নেমে এসেছে।
বাশারের রাশিয়ায় পালানোর পর বিদ্রোহীদের নেতৃত্বাধীন নতুন প্রশাসন সম্পদ পুনঃমূল্যায়নে ব্যস্ত। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনের দাবি জানালেও পশ্চিমা বিশ্ব সিরিয়ার নতুন সরকারের গঠন ও কার্যক্রমের ওপর নজর রাখছে।
সিরিয়ার জনগণ একটি স্থিতিশীল অর্থনীতি ও পুনর্গঠনের প্রত্যাশা করছে, কিন্তু তা সফল হবে কি না, তা নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাড়া এবং দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির ওপর।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post