সিরিয়ায় চলমান সংকট ও সংঘাত নতুন মাত্রা পেয়েছে। সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) ভুলবশত মার্কিন এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন ভূপাতিত করেছে, যা তারা তুর্কি ড্রোন ভেবে গুলি করে নামায়। সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই ঘটনা এমন সময় ঘটেছে যখন সিরিয়ায় ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে তিন দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, এবং তুরস্ক—তীব্র প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। বাশার আল আসাদ দেশ ছাড়ার পরই সিরিয়ার ভেতরে বড় ধরনের বিমান হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। একই সময়ে ইসরায়েল ও তুরস্কও নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে হামলা চালায়।
যুক্তরাষ্ট্র অত্যাধুনিক বি-৫২ বোমারু বিমান, এফ-১৫ ও এ-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে সিরিয়ায় ৭৫টি হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েল সিরিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা ও অস্ত্রাগারে আক্রমণ চালিয়ে গোলান মালভূমির বাফার জোন দখল করে নেয়।
তবে তুরস্ক যখন সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল এবং মানবিজে এসডিএফ যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালায়, তখন বিষয়টি নিয়ে সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানায় ওয়াশিংটন। পেন্টাগন বিশেষভাবে তুরস্কের এ ধরনের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
এসডিএফের মতে, তাদের ওপর হওয়া তুর্কি হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তারা ড্রোনটি ভূপাতিত করে। কিন্তু পরে জানা যায়, এটি তুর্কি নয়, বরং মার্কিন ড্রোন ছিল।
ঘটনার পর এক মার্কিন কর্মকর্তা, নাম প্রকাশ না করার শর্তে, জানান, “আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কী ঘটে তা আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করব। তবে এ ধরনের ঘটনা পুনরায় ঘটলে আমরা কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখাব।”
উল্লেখ্য, এসডিএফ যোদ্ধাদের সমর্থন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে এর আগেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ককে সতর্ক করলেও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তা উপেক্ষা করেছিলেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক জোট ও স্থানীয় বাহিনীগুলোর মধ্যে সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post