মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলের নির্যাতন ও বর্বরতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরূপ মনোভাব পোষণ করতেন যুক্তরাজ্যের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ইসরায়েলের সাবেক প্রেসিডেন্ট রিউভেন রিভলিনের দাবি, রানির বিশ্বাস ছিল যে, প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় সন্ত্রাসী, নয়তো সন্ত্রাসীর সন্তান।
সম্প্রতি লন্ডনে ইস হাইফার টেকনোলজির শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক বক্তব্যে রিভলিন এই বিষয়টি তুলে ধরেন। ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি প্রকাশিত হয়।
রিভলিন বলেন, “আমাদের সঙ্গে রানির সম্পর্ক কিছুটা জটিল ছিল, কারণ তিনি মনে করতেন যে, প্রত্যেক ইসরায়েলি একদিকে সন্ত্রাসী, আর অন্যদিকে সন্ত্রাসীর সন্তান।” তিনি আরও জানান, রানির সময়কালে ইসরায়েলিদের জন্য বাকিংহ্যাম প্রাসাদ ছিল প্রায় নিষিদ্ধ এলাকা। কোনও ইসরায়েলি কর্মকর্তাকে সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হত না, তবে আন্তর্জাতিক বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়া এটি কোনো ব্যতিক্রম ঘটত না।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটিশ সিংহাসনে ৭০ বছর থাকা সত্ত্বেও কখনোই ইসরায়েল সফর করেননি। তবে তার ছেলে, বর্তমান রাজা তৃতীয় চার্লস ইসরায়েল সফর করেছেন তিনবার। ১৯৯৫ সালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইটঝাক রাবিনের এবং ২০১৬ সালে শিমন পেরেজের শেষকৃত্যে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি দেশটি সফর করেন। ২০২০ সালে তিনি প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক সফরে ইসরায়েল যান।
রিভলিন রানির সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “তৃতীয় চার্লস ইসরায়েলিদের প্রতি বরাবরই বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব পোষণ করেছেন,” যা ইসরায়েলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। এর ফলে, ইসরায়েল ও ব্রিটেনের সম্পর্কের অতীত ইতিহাস এবং রানির অবস্থান নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post