গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে ইরান সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহর নেতা সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের কর্মকর্তা খলিল আল-হায়া। শুক্রবার লেবাননের কোনো এক অজ্ঞাতস্থানে হয়েছে এই বৈঠক।
লেবাননভিত্তিক শিয়াপন্থী সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর কেন্দ্রীয় কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিভিন্ন পয়েন্ট নিয়ে মতবিনিময় করেছেন উভয় পক্ষের প্রতিনিধিদল। ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শান্তি সংলাপ এবং গাজার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে তাদের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার এক সিনিয়র মার্কিন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বলেছিলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে জিম্মি বিনিময় ইস্যুতে হামাস একটি উল্লেখযোগ্য মীমাংসায় এসেছে। এটি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথ সুগম করবে বলে আশা করছেন তিনি।
গত ৭ আগস্ট সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা। পাশাপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।
আরও পড়ুন
অতর্কিত সেই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধারে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। সেই অভিযানে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৮ হাজার ১১ ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর এক মাস পর থেকে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ। পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীও (আইডিএফ)। দিন যত গড়াচ্ছে, ততই তীব্র হয়ে উঠছে উভয়পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলা।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হিজবুল্লাহ ও আইডিএফের পাল্টাপাল্টি এই হামলায় গত ৭ মাসে লেবাননে নিহত হয়েছেন ৪৮১ জন। তাদের মধ্যে বেসামরিকদের সংখ্যা ৯৪ জন। অন্যদিকে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন সেনা এবং ১১ জন বেসামরিক।