ইসরায়েল ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলে হুথি-নিয়ন্ত্রিত দুটি বন্দরে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে হুতি বিদ্রোহীদের ক্রমাগত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই অভিযান চালানো হয়েছে।
অভিযানে ১৫টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয় এবং হোদেইদা ও সালিফ বন্দরে প্রায় ৩৫টি বোমা ফেলে। হামলায় বন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যায়।
এই সপ্তাহের শুরুতে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী তিনটি বন্দর থেকে সাধারণ জনগণকে সরে যেতে সতর্ক করেছিল। তবে শুক্রবারের হামলায় রাস ইসা বন্দরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি।
আরও পড়ুন
হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টিভিও বন্দরগুলোতে ইসরায়েলি হামলার খবর নিশ্চিত করেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়, এবং কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এই হামলা এমন সময়ে ঘটল যখন যুক্তরাষ্ট্র ও হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তবে ইসরায়েল এই চুক্তির অংশ ছিল না। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে, যেগুলোর বেশিরভাগই প্রতিহত করা হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হুতিদের হামলার পেছনে রয়েছে ইরান এবং ইসরায়েল চুপ করে থাকবে না।
আইডিএফ জানিয়েছে, এই হামলার উদ্দেশ্য হলো হুথিদের সন্ত্রাসী ক্ষমতা কমানো এবং বন্দরগুলোকে অকার্যকর করা, যাতে তারা ইরানি অস্ত্র আনতে না পারে।
ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর ভূগর্ভস্থ কমান্ড সেন্টারে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এবং আইডিএফ প্রধান উপস্থিত ছিলেন। কাটজ হুথি নেতা আব্দুল-মালিক আল-হুথিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন, যদি তারা ইসরায়েলের ওপর হামলা চালায়।