মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তরকেই গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ হিসেবে ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, গাজায় আটক ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে ফেরত পাওয়া গেছে, যা যুদ্ধবিরতির অন্যতম সাফল্য। তবে মৃত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত শান্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ট্রাম্প লেখেন, “যদিও বড় একটি সংকট কেটে গেছে, কাজ এখনো শেষ হয়নি। চুক্তি অনুযায়ী হামাসকে মৃত সব জিম্মির মরদেহ ফেরত দিতে হবে। এই ধাপ থেকেই শুরু হলো যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্ব।”
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে হামাস জানায়, তাদের হাতে থাকা ৪৮ জিম্মির মধ্যে ২০ জন জীবিত এবং ২৮ জন নিহত। গত সেপ্টেম্বরের শেষে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির যে পরিকল্পনা গৃহীত হয়, তাতে হামাসকে জীবিত জিম্মিদের মুক্তি ও নিহতদের মরদেহ হস্তান্তরের শর্ত দেওয়া হয়েছিল। এর ভিত্তিতে ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয় যুদ্ধবিরতি।
আরও
যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিনে হামাস জীবিত ২০ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেয় এবং এর বিনিময়ে ইসরায়েলও ৩ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেয়। পাশাপাশি হামাস চারটি মৃতদেহ হস্তান্তর করে। তবে সংগঠনটি দাবি করেছে, কিছু মরদেহের অবস্থান জানা সম্ভব হয়নি, কারণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিহত হয়েছেন এবং কিছু স্থান ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়েছে।
এদিকে, ২৮টি মরদেহের মধ্যে মাত্র চারটি ফেরত পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, হামাস যদি বাকি মরদেহগুলো দ্রুত না ফেরত দেয়, তাহলে গাজা-মিসর সীমান্তের রাফা ক্রসিং বন্ধ রাখা ও ত্রাণ সরবরাহ সীমিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরিস্থিতি নিয়ে উত্তেজনা বাড়লেও, হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে— অচিরেই আরও কিছু মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।










