সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বলে জানিয়েছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। রিয়াদে ‘সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ ফোরাম’-এ তিনি এই ঘোষণা দেন।
যুবরাজ সালমান বলেন, সৌদি ভিশন ২০৩০-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র এবং যৌথ বিনিয়োগ দুই দেশের সম্পর্কের মূল ভিত্তি। তিনি জানান, সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের বৈশ্বিক বিনিয়োগের ৪০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের রূপান্তরের প্রশংসা করে যুবরাজকে ‘অসাধারণ নেতা’ হিসেবে অভিহিত করেন। ট্রাম্প বলেন, সৌদির অ-তেল খাতের আয় এখন তেল খাতকেও ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন
ট্রাম্প বাইডেন প্রশাসনের হুথিদের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন এবং ইরানকে আঞ্চলিক অস্থিরতার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি লেবাননকে ‘হিজবুল্লাহ ও ইরানের শিকার’ হিসেবে উল্লেখ করে সহায়তার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় সৌদি আরবের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে থাকবে।
এর আগে, দুই দেশের মধ্যে একটি কৌশলগত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে জ্বালানি, খনিজ, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ, স্বাস্থ্য ও বিচারখাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। প্রতিরক্ষা খাতে চুক্তির আওতায় সৌদি সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণ এবং সৌদি মহাকাশ সংস্থা ও নাসার মধ্যে সহযোগিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ট্রাম্পের সৌদি সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সফরের পরবর্তী পর্যায়ে তিনি কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন।