দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহর হংডের একটি সড়ক থেকে ২৯ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ। শুক্রবার (৯ মে) দেশটির পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। মৃতদেহটি গত সপ্তাহেই উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মাপো পুলিশ স্টেশনের তথ্য অনুযায়ী, এই বাংলাদেশি প্রবাসী হংডের একটি নাইটক্লাবে নাচার সময় হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। পরবর্তীতে রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে একটি সড়কে তাকে অচেতন অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায়। ক্লাবে ওই যুবকের অজ্ঞান হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে জানা গেছে।
ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, প্যারামেডিক দলের সদস্যরা আসার আগে পথচারীরা প্রায় দশ মিনিট ধরে ওই যুবকের ওপর সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) প্রয়োগ করেন। হাসপাতালে স্থানান্তরের সময় তার মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো ছিল।
আরও পড়ুন
নিহত বাংলাদেশি যুবক দুই বছর আগে কাজের ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় যান এবং সেখানে একটি কারখানায় কর্মরত ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, তার দেহে কোনো মাদক অথবা অ্যালকোহলের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, প্রাথমিকভাবে তাকে হত্যার কোনো সুস্পষ্ট আলামতও মেলেনি। তবে, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য এবং পরিবারের সম্মতিক্রমে, জাতীয় ফরেনসিক সার্ভিস তার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর তার মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে সিউলে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে। এই ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।