গাজায় চলমান সহিংসতা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় লন্ডনের নিউ স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সামনে ‘ইন্টারন্যাশনাল জুয়িশ অ্যান্টি-জায়োনিজম নেটওয়ার্ক’ (আইজেএএন) আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানান এবং ইসরায়েলের হামলার নিন্দা করেন।
সাম্প্রতিককালে গাজার আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে বোমা হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত সিপি হোটোভেলিকে গ্রেফতারের দাবি জানান এবং গাজায় সংঘটিত ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এনে বিচারের আহ্বান জানান।
সমাবেশে বক্তারা গাজার ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকটের চিত্র তুলে ধরেন। তারা অভিযোগ করেন যে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত ৩৬টি হাসপাতাল সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বাস্তুচ্যুতি, অনাহার ও গণহত্যা একটি পরিকল্পিত প্রক্রিয়া। বিক্ষোভকারীরা ‘হোটোভেলিকে বহিষ্কার করুন’ এবং ‘গণহত্যায় যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অবসান চাই’ স্লোগান দেন। একইসঙ্গে, তারা ব্রিটেনে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভের ওপর চলমান রাজনৈতিক ও পুলিশি দমন-পীড়নেরও নিন্দা জানান।
আরও পড়ুন
বিক্ষোভ মিছিলে বিভিন্ন ব্যানার, ফিলিস্তিনের পতাকা, প্ল্যাকার্ড ও ড্রাম দেখা যায়। খোলা মাইক্রোফোনে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। ‘বাঙালিস ফর প্যালেস্টাইন’-এর প্রতিনিধি হিসেবে আনসার আহমেদ উল্লাহ ও শহীদ আলী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, সংগঠনের চেয়ারম্যান নূরউদ্দিন আহমেদ এবং কমিউনিটির সক্রিয় কর্মী রাজনুদ্দিন জালাল, শফিক আহমেদ, রইস আলী, আব্দুল আহাদ চৌধুরী, আহমেদ ফকর কামাল, জাভেদ আহমেদ ও জামাল আহমেদ খান প্রমুখ বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন। আইজেএএন-এর একজন প্রতিনিধি জানান, তারা বিভিন্ন ইহুদিবাদী গোষ্ঠীর হুমকি ও আক্রমণ নথিবদ্ধ করছেন এবং পুলিশ প্রশাসনের কাছে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ অব্যাহত রাখবেন।
উল্লেখ্য, গাজায় চলমান সংঘাতের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ ক্রমশ বাড়ছে। বাংলাদেশসহ যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড, কানাডা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতার সমালোচনা করা হচ্ছে।
আরও দেখুন