ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় স্পেনের ভিসার প্রলোভন দেখিয়ে সৌদি আরবে পাঠিয়ে মরুভূমিতে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আদম ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দাবি— এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে চাইলে উল্টো তাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বিলঘর জারু মার্কেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আইয়ুব সরকার লিখিত বক্তব্যে জানান, গত বছরের আগস্টে একই গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে তারেক মিয়াকে ইউরোপে পাঠানোর জন্য বিল্লালের কাছে ২৭ লাখ টাকা দেওয়া হয়। প্রথমে ভুয়া ভিসা দিয়ে তাকে স্পেনে পাঠানোর চেষ্টা করা হলেও ঢাকায় বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়। পরে সরকার পরিবর্তনের অজুহাতে বিল্লাল তাকে সৌদি আরবে পাঠান, যেখানে দীর্ঘদিন পর জানা যায়, তাকে মরুভূমিতে ফেলে রাখা হয়েছে।
আইয়ুব সরকারের অভিযোগ, তিনি বিল্লালের কাছ থেকে জমি কিনলেও নির্ধারিত সময়ে রেজিস্ট্রি না করে উল্টো তার বিরুদ্ধে সাজানো মামলা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, কবির হোসেন, আবু জামালসহ শতাধিক এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, বিল্লালের সহযোগীরা নিজেরাই ঘরবাড়ি ভেঙে সাজানো মামলা করছে এবং ভুক্তভোগীদের হয়রানি করছে।
আরও
সংবাদ সম্মেলনের পর এলাকাবাসী একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে জারু মার্কেটে এসে শেষ হয়। সেখানে বিল্লাল হোসেন ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে যা পাওয়া যাবে তার ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অভিযুক্ত বিল্লাল বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মান্নান মিয়ার সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়নি।










