হজে অনিয়ম করার অভিযোগে দুই এজেন্সিকে জরিমানা করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
পৃথক প্রজ্ঞাপনের প্রথমটিতে মন্ত্রণালয় জানায়, এজেন্সি সাবওয়ে ট্রাভেলস অ্যান্ড হলিডেজের (হজ লাইসেন্স নম্বর-১২৩৩) বিরুদ্ধে আ. মান্নান সরকার, মো. আশরাফুল আলম ও মো. জহরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অভিযোগে তারা জানান, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী হোটেল না দেওয়া, নিম্নমানের হোটেলে রাখা, গাইড না দেওয়া, জিয়ারা না করানো, নিম্নমানের খাবার পরিবেশন, খারাপ আচরণ করা, কব্জি বেল্ট দেওয়া হয়নি।
এমন অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছে কমিটি। এর মাধ্যমে এ এজেন্সি ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১’ লঙ্ঘন করেছে। এ অবস্থায় হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইনানুযায়ী সাবওয়ে ট্রাভেলস অ্যান্ড হলিডেজকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হলো। এ অর্থ অভিযোগকারীদের সমান হারে ক্ষতিপূরণ দিয়ে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ করে প্রমাণক ধর্ম মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয় প্রজ্ঞাপনে।
আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, লাকি ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিজমের (হজ লাইসেন্স নম্বর-২৬৮) বিরুদ্ধে মোস্তফা কবির হাবিব এবং তার স্ত্রী শামীমা আক্তার অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে তারা বলেন, সংক্ষিপ্ত প্যাকেজের কথা বলে প্রাক-নিবন্ধনের জন্য ৬২ হাজার টাকা এবং পাসপোর্টসহ মোট আট লাখ টাকা নেন। হজযাত্রীদের বিমান টিকিট নিয়ে এজেন্সি ভোগান্তি করেছে। বিমান টিকিট পরিবর্তনের কথা বলে অতিরিক্ত ৯০ হাজার টাকা গ্রহণ করা, মক্কায় নিম্নমানের হোটেলে রাখা হয়।
তদন্ত কমিটি এই অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে এবং প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এ অবস্থায় হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১ অনুযায়ী এক লাখ টাকা জরিমানা করা হলো। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ অর্থ হজযাত্রীদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়ার আদেশ দেওয়া হলো।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জরিমানার অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে এজেন্সির ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড বন্ধ করার আদেশ দেওয়া হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post