দীর্ঘদিন ধরে চোখের সমস্যায় ভুগছিল ৭ বছরের এক শিশু। হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে গেলে, তারা অস্ত্রোপচার করতে বলেন। সেই মতো হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ওই বালককে। করা হয় অস্ত্রোপচারও।
কিন্তু অপারেশন থিয়েটার থেকে শিশুকে বের করার পরই সবার চোখ উঠল কপালে। মূলত শিশুটির সমস্যা বাম চোখে হলেও চিকিৎসকরা অপারেশন করেছেন তার ডান চোখে। আর এই অপারেশনে শিশুটির পরিবারের আর্থিক খরচ হয়েছে ৪৫ হাজার।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির পার্শ্ববর্তী গ্রেটার নয়ডা এলাকায়। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেটার নয়ডার একটি হাসপাতালে বাম চোখে অস্ত্রোপচারের জন্য গেলেও সাত বছর বয়সী এক বালকের ডান চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। গত ১২ নভেম্বর গামা ১ সেক্টরের আনন্দ স্পেকট্রাম হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে।
ভুক্তভোগী ছেলেটির বাবা নিতিন ভাটি জানান, বাম চোখে প্রায়ই পানি পড়ায় তারা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাক্তার আনন্দ ভার্মা তাদের জানান, তার চোখে প্লাস্টিকের মতো একটি বস্তু রয়েছে— যা অপারেশন করে নিরাময় করা যেতে পারে।
এই অপারেশন করতে ৪৫ হাজার রুপি খরচ হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গত মঙ্গলবার ছেলে যুধিষ্ঠিরের অপারেশন করেন চিকিৎসক।
কিন্তু বাড়িতে পৌঁছে ছেলেটির মা লক্ষ্য করেন, তার ছেলের ভুল চোখে অপারেশন করা হয়েছে। এরপরে তার বাবা-মা ডাক্তারের কাছে গেলেও ওই চিকিৎসক ও তার কর্মীরা তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার হাসপাতালে হট্টগোল সৃষ্টি করে এবং গৌতম বুদ্ধ নগরের চিফ মেডিকেল অফিসারের (সিএমও) কাছে অভিযোগ দায়ের করে। ছেলেটির বাবা তার অভিযোগে ওই ডাক্তারের লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানিয়েছেন এবং হাসপাতালটি সিলগালা করারও আহ্বান জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে এবং শিগগিরই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post