ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের নিহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) এক শোকবাণীতে তিনি বলেন, ১৮ অক্টোবর সৌদির সংবাদমাধ্যম আশরাক আল-আসওয়াত এক প্রতিবেদনে গাজায় হামাসের উপপ্রধান খলিল আল-হাইয়ার বরাত দিয়ে হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
৬ আগস্ট তেহরানে নিহত সাবেক রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহর উত্তরসূরি হিসেবে সিনওয়ারকে দলটির সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তাকে হত্যার ইসরায়েলি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বেশ কয়েকবার। ১৭ অক্টোবর গাজায় এক ইসরায়েলি হামলায় তিনি নিহত হন।
শোকবাণীতে তিনি আরও বলেন, ইয়াহিয়া সিনওয়ার ১৯৬২ সালে গাজার খান ইউনিস শরণার্থী ক্যাম্পে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের ভোটাভুটির মাধ্যমে ইসরায়েলের সৃষ্টি হওয়ার পর সিনওয়ারের পরিবারকে মাজদাল আসকালান ছেড়ে গাজার খান ইউনিসে চলে যেতে হয়। সেখানে শরণার্থী হিসেবে জীবন শুরু করেন তারা। সিনওয়ার তার জীবনের ২২ বছর ইসরায়েলের কারাগারে ছিলেন। ২০১১ সালে বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে মুক্তি পান তিনি। ২০১৭ সালে হামাসের গাজা শাখার প্রধান হন তিনি।
চলতি বছরের জুলাইয়ে ইসমাইল হানিয়ার শাহাদাতের পর তিনি হামাসের প্রধান নেতার দায়িত্ব পান। তিনি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য বীরের মতো যুদ্ধ করতে করতে জীবন দিয়েছেন। বিশ্বের সব স্বাধীনতাকামী সংগঠন ও মুসলিম উম্মাহ তার এই ত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। আমি তার শাহাদাতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করছি।
শোকবাণীতে তিনি আরো বলেন, আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাকে শহীদ হিসেবে কবুল করার জন্য মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট দোয়া করছি। আল্লাহ তায়ালা তার জীবনের সব নেক আমল কবুল করে তাকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তার শোকাহত পরিবার-পরিজন ও সহযোদ্ধাদের এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন, আমিন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post