এখন ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা কিনতে গুনতে হচ্ছে এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৮ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে সোনার স্মারক মুদ্রার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিটি মুদ্রার দাম ১০ হাজার টাকা করে বাড়িয়ে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে, যা এতদিন ছিল এক লাখ ১৫ হাজার টাকা।
আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে সোনার দাম বাড়ার কারণে এর দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০০০’, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ ১৯২০-২০২০’ এবং ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ১৯৭১-২০২১’ শীর্ষক সোনার স্মারক মুদ্রার দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। ২২ ক্যারেট সোনার দিয়ে তৈরি করা ১০ গ্রাম ওজনের ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০০০’, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ১৯২০-২০২০’ এবং ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ১৯৭১-২০২১’ শীর্ষক সোনার স্মারক মুদ্রা (বাক্সসহ) প্রতিটির বিক্রয়মূল্য এক লাখ ২৫ হাজার হাজার টাকায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে, ২৯ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক স্বর্ণমুদ্রার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়, যা ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছিল।
এছাড়া, বর্তমানে বাজারে ১১টি স্মারক রৌপ্যমুদ্রা (ফাইন সিলভার) রয়েছে। এর মধ্যে আছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী-১৯৯৬, বাংলাদেশ ব্যাংক রজতজয়ন্তী-১৯৯৬, বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন-১৯৯৮ বাংলাদেশের ৪০তম বিজয়বার্ষিকী, ‘বিদ্রোহী’ কবিতার ৯০ বছর- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী-২০১১, আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ-বাংলাদেশ ২০১১, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের শতবর্ষ ১৯১৩-২০১৩, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ১৯৭১-২০২১ এবং বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির মুদ্রা।
এসব রূপার স্মারক মুদ্রার ওজন ২০ গ্রাম থেকে ৩১.৪৭ গ্রাম। এসব স্মারক রৌপ্য মুদ্রার দাম ছয় হাজার টাকা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post