১৫ বছরের ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থপাচার ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিসহ প্রভাবশালীরা যে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তার বেশির ভাগই তারা বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসিনা সরকারের ৭০ জনের বেশি মন্ত্রী-এমপি, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, আমলা ও পুলিশ কর্মকর্তা এই অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে। তবে অর্থ পাচারকারীর তালিকা আরও দীর্ঘ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওই প্রতিবেদনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য ছিল সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, কানাডাসহ কিছু দ্বীপরাষ্ট্র।
তবে কয়েক বছরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বা পূর্ব ইউরোপের মতো দেশগুলোকে অর্থ পাচার করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশপগুলোতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা বা অর্থনৈতিক সেংশনের হুমকি কারণে অর্থ পাচারের এ রুট পরিবর্তন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুদকের প্রাথমিক তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও এমপি সালমান এফ রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা: দীপু মনি, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী প্রমুখ।
এ ছাড়া এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম মাসুদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও সাবেক ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারসহ ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা অর্ধশতাধিক জনের বিরুদ্ধে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দুদকের হাতে রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post