মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী কোম্পানি জাহাঙ্গীর বিডি ইন্টারন্যাশনাল এসডিএন বিএইচডি-এর শ্রমিক গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে তার নিয়োগকর্তার সাথে প্রতারণা ও চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোলাম কিবরিয়া কুমিল্লা ভাঙ্গুরা থানার বাসিন্দা এবং তার পাসপোর্ট নং A12187332 >
এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর বিডি ইন্টারন্যাশনাল এসডিএন বিএইচডি-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো: জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের পূর্বক কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে অভিযোগ করেন। যার মামলা নম্বর HULU KLANG/007036/24
এ ঘটনায় মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন অনুযায়ী নিয়োগকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পলাতক গোলাম কিবরিয়াকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে অভিবাসন বিভাগ।
পুলিশ রিপোর্ট সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর বিডি ইন্টারন্যাশনাল এসডিএন বিএইচডি-এর অধীনে ২০২৩ সালে ডিসেম্বর মাসে কলিং ভিসায় রেস্টুরেন্ট ক্রু হিসেবে মালয়েশিয়ায় আসে গোলাম কিবরিয়া। তারপর দীর্ঘ ৯ মাস জাহাঙ্গীর বিডিতে কাজ করে গোলাম কিবরিয়া। গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে জাহাঙ্গীর বিডির দোকানে কর্মরত অবস্থায় দোকান বন্ধ করে চলে যায়। তারপর গোলাম কিবরিয়া রাত ১২টার দিকে পুনরায় দোকানে এসে কাউকে কিছু না বলে ক্যাশ থেকে ১২ হাজার রিংগিত ও একাধিক পাসপোর্ট নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে তার সাথে মালিকপক্ষ যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে গোলাম কিবরিয়ার ব্যবহৃত মোবাইলফোনটি অদ্যবধি বন্ধ পাওয়া গেছে।
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের আইন অনুযায়ী নিজ কোম্পানি থেকে কোনো শ্রমিক পালিয়ে গেলে তাৎক্ষণিক নিকটস্থ বালাই থানায় সাধারণ ডায়েরি ও জিডি করে ইমিগ্রেশনে দাখিল করে কালো তালিকার জন্য আবেদন করতে হয়। ইমিগ্রেশন কর্তৃক কালো তালিকা করার পর থেকে ওই শ্রমিক মালয়েশিয়ায় অন্য কোথাও কাজ করতে পারবেন না। এ অবস্থায় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ অভিযানে আটক হলে সর্বনিম্ন ৩ মাস জেল খাটার পর নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। একবার মালয়েশিয়া থেকে ব্লাকলিষ্ট হয়ে নিজ দেশে ফেরত গেলে আর ৫ বছরের মধ্যে পুনরায় মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না কোনো শ্রমিক।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর বিডি ইন্টারন্যাশনাল এসডিএন বিএইচডি-এর পরিচালক মো: জাহাঙ্গীর জানান, আমার প্রতিষ্ঠানে গোলাম কিবরিয়াকে বিশ্বস্ত মনে করে তাকে দায়িত্ব অর্পণ করি, কিন্তু তিনি আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রতারণা করে চলে যায়, তাকে খুঁজে পেতে প্রশাসনসহ প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করছি।
যোগাযোগ করা হলে কুমিল্লা বাঙ্গরা বাজার থানার দেওড়া গ্রামের বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়ার বাবা মো: জিয়াউর রহমান মোবাইলফোনে বলেন, আমার ছেলে কোথায় আছে তা আমি জানি না, আপনি সাংবাদিক হন আর যাই হন জাহাঙ্গীর মিয়াকে বলেন আমার ছেলেকে খুঁজে বের করে দিতে, যদি আমার ছেলে কোনো অন্যায়-অনিয়ম করে থাকে তাহলে আমার ভিটামাটি বিক্রি করেও তা পরিশোধ করব, আর যদি আমার ছেলের প্রতি কোনো অন্যায় করা হয়ে থাকে তাহলে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটাবো।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post