রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের তীব্রতা অনেক কমেছে। এখনো চলছে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ। তাই তা নিয়ে বাদ-প্রতিবাদ কমেনি, অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ থামেনি, বন্ধু-শত্রু সমীকরণও সতেজ থেকেছে। ভারত কি ইউক্রেনের বন্ধু? নিশ্চয়ই তাই। তবে ভারত তো আবার রাশিয়ারও বন্ধু। কিন্তু এই দুই যুধ্যমান দেশের সঙ্গে ভারতের সমীকরণ যেমনই হোক, সম্প্রতি জানা গেছে ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাচ্ছে ভারত! তবে সরাসরি নয়।
ভারতীয় অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের বিক্রি করা আর্টিলারি শেলগুলো ইউরোপীয় গ্রাহকরা ইউক্রেনে পাঠাচ্ছে। আর এভাবেই ভারতে নির্মিত অস্ত্র পৌঁছে যাচ্ছে ইউক্রেনে। বিষয়টা প্রকাশ্যে এলে এ ব্যাপারে মস্কো প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু নয়াদিল্লি এই অস্ত্রবাণিজ্য বন্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চায়নি।
বৃহস্পতিবার ১১ জন ভারতীয় ও ইউরোপীয় সরকার এবং প্রতিরক্ষা শিল্পের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সমর্থন করার জন্য গোলাবারুদ স্থানান্তর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে হয়েছে।
ভারতীয় অস্ত্র রফতানি বিধান অনুযায়ী, ঘোষিত ক্রেতার কাছে অস্ত্র তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারে না। এ ধরনের অননুমোদিত স্থানান্তর ঘটলে ভবিষ্যতে বিক্রি বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তিন ভারতীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং তার ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে জুলাইয়ের বৈঠকের সময়সহ ক্রেমলিন অন্তত দুটি অনুষ্ঠানে বিষয়টি উত্থাপন করেছে।
জানুয়ারিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, ভারত ইউক্রেনে আর্টিলারি শেল পাঠায়নি বা বিক্রি করেনি। ভারতীয় সরকারের দুটি এবং প্রতিরক্ষা শিল্পের দুটি সূত্র জানিয়েছে, ইউক্রেন যেসব গোলাবারুদ পাঠানো হয়েছে দিল্লি তার খুব কমই উৎপাদন করেছে। এটি কিয়েভের আমদানি করা মোট অস্ত্রের ১ শতাংশেরও কম।
একজন স্প্যানিশ এবং একজন সিনিয়র ভারতীয় কর্মকর্তার পাশাপাশি ভারতীয় অস্ত্র উৎপাদনকারী যন্ত্র ভারতের প্রাক্তন শীর্ষ নির্বাহী জানিয়েছেন, ইউক্রেনে ভারতীয় গোলাবারুদ প্রেরণকারী ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ইতালি ও চেক প্রজাতন্ত্র। এই দেশ দুটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে কিয়েভকে আর্টিলারি শেল সরবরাহ করার উদ্যোগের নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে খবর।
সূত্র: জি নিউজ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post