কিশোরগঞ্জে ভাড়া বাসায় মা এবং ছোট দুই ভাই-বোনকে এক কক্ষে আটকে রেখে অন্য কক্ষে প্রবাসীর স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৭ জুলাই) এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মো. রাকিব (৩২) ও মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে আনাছকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে, শুক্রবার সকালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের হারুয়া কসাইখানা রোডের একটি চারতলা ভবনের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃত রাকিব শহরের হারুয়া সওদাগরপাড়ার করিমুল্লাহর ছেলে এবং মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে আনাছ হারুয়া কসাইখানা এলাকার আব্দুছ ছালামের ছেলে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জেলার কটিয়াদী উপজেলার ওই নারী বাবা–মা ও ছোট দুই ভাইবোনকে নিয়ে গত ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের হারুয়া কসাইখানা রোডের একটি চারতলা ভবনের নিচতলায় একটি ইউনিট ভাড়া নেন।
একই এলাকার মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে আনাছ ওই বাসাটিতে গিয়ে পরিবারটির সঙ্গে পরিচিত হন এবং ওই নারীর মাকে ধর্মের মা বানান। এতে আনাছের সঙ্গে পরিবারটির সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত বৃহস্পতিবার ওই নারীর মামা–মামি বেড়াতে আসেন। পরদিন শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে আনাছসহ ৬ যুবক বাসাটিতে হানা দেন।
এ সময় তারা এই বাসায় খারাপ কাজ হয় বলে ওই নারীর মামা–মামিকে গালিগালাজ করে বাসা থেকে বের করে দেন। পরে সিহাব ও সুমন নামে দুই যুবক বাসার একটি কক্ষে ওই নারীর মা, ছোট ভাই ও বোনকে আটকে রাখে ও হত্যার হুমকি দেয়।
অন্যদিকে বাসার অন্য একটি কক্ষে আনাছ, রাকিব, বাছির ও ফারুক মিলে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষকরা চলে যায়। এরপর মা ও ছোট দুই ভাই-বোন তাকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালের চিকিৎসক মাহমুদা আক্তার বলেন, পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post