হঠাৎ করেই মাঝ-আকাশে ঝাঁকুনির ঘটনা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। আগে কালেভদ্রে শোনা গেলেও এখন প্রায় প্রতিদিন বিশ্বের কোথাও না কোথাও আকাশে টার্বুলেন্স এবং এ কারণে যাত্রীদের হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
২ দিন আগেও এয়ার ইউরোপার একটি ফ্লাইট মাঝ-আকাশে তীব্র ঝাঁকুনির কবলে পড়ে ব্রাজিলে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। এই ঘটনায় ফ্লাইটটির অন্তত ৩০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
এ কারণেই প্রশ্ন উঠছে, কেন উড়োজাহাজে ঝাঁকুনি হয়? মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উড়োজাহাজগুলোর প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার প্রবণতা ক্রমাগত বাড়ছে।
ঝড়বৃষ্টি, ঠান্ডা আবহাওয়া কিংবা গরম, পর্বতের চারপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বাতাস—সব পরিস্থিতিতেই উড়োজাহাজ প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে পড়তে পারে।
তবে বেশ কিছুদিন আগে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট পরিষ্কার আকাশে ঝাঁকুনির কবলে পড়েছিল। অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টস বলছে, ঝাঁকুনির এই ধরন সবচেয়ে বিপজ্জনক।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্য বলছে, মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশে প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে উড়োজাহাজকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
আর মেঘমুক্ত আকাশ হওয়ায় এ ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতি নিয়ে পূর্বাভাসও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। এ কারণে সমস্যা আরও জটিল হয়ে ওঠে। উড়োজাহাজকে হুট করেই ঝাঁকুনির কবলে পড়তে হয়।
তবে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ঝাঁকুনিসংক্রান্ত মৃত্যুর ঘটনা খুবই বিরল বলে উল্লেখ করেছেন রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যাপক পল উইলিয়ামস।
তবে পল বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই উড়োজাহাজের প্রতিকূল পরিস্থিতির কবলে পড়ার ঘটনা দিন দিন বাড়ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post