প্রেমের টানে ফেনীতে এসে ঘর বাঁধলেন আমেরিকান নারী। ২০০৮ সাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফেনীর এক যুবকের সাথে পরিচয় হয় মার্কিন নারী সেন্ডোরা ব্রোক্সের।
সেই থেকে যোগাযোগ। আবেগ অনুরাগের শেয়ার। একপর্যায়ে ভালো লাগা ও ভালোবাসা। পরিণতিতে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেনীতে ছুটে এসে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে।
এটি ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব সফরপুর গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে জামশেদ আলম রাজুর (২৫) এর গল্প।
সোমবার দুপুরে ফেনীর একটি চাইনিজ রেস্টেুরেন্টে রাজুর সাথে বিয়ের পিড়িতে বসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ছুটে আসা নারী সেন্ডোরা ব্রোক্স (৫৫)।
সে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া শহরের বাসিন্দা। বিষয়টি জানা জানির পর ফেনীতে এ ধরনের ঘটনায় ব্যাপক কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।
রাজু বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে ২০০৮ সাল থেকে আমার সাথে ব্রোক্সের পরিচয় হয়। সেই থেকে যোগাযোগ, ভালোলাগা, ভালোবাসা। পরে দুই জনের বিয়ের সিদ্ধান্ত।
কিন্তু সেখানে বাধা হয়ে দাড়ায় আমার ধর্ম ইসলাম; ব্রোক্সের ধর্ম অন্যটা। আমার বয়স ২৫ আর ব্রোক্সের বয়স ৫৫। সব শেষে আমি ব্রোক্সের বয়স মেনে নেবো আর ব্রোক্স আমার ধর্ম গ্রহণ করবে; এমন সিদ্ধান্তে আমরা বিয়ের বিষয়ে চূড়ান্ত করি।
সেই আলোকে ১ জুন ব্রোক্স আমাকে বিয়ে করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসে। সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর নাম রাখে লামিয়া। আমরা দুইজন ফেনীর আদালতে গিয়ে হলফনামা দিলে ফেনীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অপরাজিতা দাশ তা মঞ্জুর করেন।
ফেনীর যুবক রাজু বলেন, ব্রোক্স আমাকে ভীষণ ভালোবাসে। আমার সাথে থাকতে সে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেনীতে ছুটে এসেছে। নিজ ধর্ম ত্যাগ করেছে। বিয়ের খবর জানার পর গ্রামের বাড়িতে আত্মীয় স্বজনরা ব্রোক্সকে দেখতে ভীড় জমাচ্ছে। আমাকে বিয়ে করতে পেরে ব্রোক্সও খুশি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post