নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ ব্যানন টেক বিলিয়নিয়ার এলন মাস্ককে ‘পুরোপুরি ধ্বংস’ করার প্রতিজ্ঞা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি তাকে ‘অত্যন্ত দুষ্ট’ লোক বলেও অভিহিত করেছেন।
ইতালির পত্রিকা করিয়েরে দেলা সেরা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্যানন কড়াভাবে সমালোচনা করেছেন মাস্কের। যিনি ট্রাম্পের ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগ’ পরিচালনার সহ-নেতা হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন।
ব্যানন বলেছেন, ‘আমি উদ্বোধন দিবসের আগেই ইলন মাস্ককে এখান থেকে তাড়িয়ে দেব। তিনি একটি অত্যন্ত দুষ্ট এবং খারাপ ব্যক্তি। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিজ্ঞা করেছি এই লোকটিকে ধ্বংস করার।
ট্রাম্প তার দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে চলেছেন, তবে পরবর্তী প্রশাসনে মাস্কের প্রভাব সম্পর্কে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ব্যানন বিশেষত এইচ-১বি ভিসা নিয়ে চলমান বিতর্কে মাস্ককে আক্রমণ করেছেন। এইচ-১বি ভিসার পক্ষে মাস্কের সমর্থন রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক প্রতিভা যুক্তরাষ্ট্রে আকর্ষণ করতে সহায়ক। তবে ট্রাম্পের সমর্থকরা এই প্রোগ্রামের বিপক্ষে, যা এই বিষয়ে উত্তপ্ত বিতর্ক উসকে দিয়েছে।
কেউ কেউ বলেন, এই ভিসা পেশাদার প্রতিভা দেশে আনতে সাহায্য করে, আবার অন্যরা মনে করেন এটি নিয়োগকর্তাদের বাইরের দেশ থেকে কম মজুরিতে কর্মী নিয়োগ করার সুযোগ দেয়, যা একজন আমেরিকান নাগরিকের তুলনায় কম ব্যয়বহুল।
ইলন মাস্ক নিজেও একসময় একজন এইচ-১বি ভিসাধারী ছিলেন, কারণ তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছেন।
ব্যানন বলেন, এই এইচ-১বি ভিসার বিষয়টি হলো, পুরো অভিবাসন ব্যবস্থাই টেক কোম্পানিগুলোর মালিকদের দ্বারা অপব্যবহার করা হয়। তারা এটি নিজেদের সুবিধার জন্য ব্যবহার করে। আর জনগণ এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
ব্যানন মাস্কের উত্তরাধিকার নিয়েও আক্রমণ করেছেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার লোকদের ‘পৃথিবীর সবচেয়ে বর্ণবাদী মানুষ’ বলেছেন।
ব্যানন বলেন, তাকে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতে হবে। কেন আমাদের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকানরা, যারা পৃথিবীর সবচেয়ে বর্ণবাদী মানুষ, বিশেষ করে শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানরা, যুক্তরাষ্ট্রে ঘটে যাওয়া বিষয়ে মন্তব্য করার অধিকার পায়?
ব্যানন আরও অভিযোগ করে বলেন, মাস্কের মানসিকতা ছোট একটি ‘বাচ্চার মতো’ এবং তার একমাত্র আগ্রহ তার সম্পদ বৃদ্ধি করা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post