ভারতে ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর স্টেশন এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক। ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না।
ভারতের সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ও ছাত্র-জনতা সব সময় ঐক্যবদ্ধ আছে।
তিনি বলেন, ‘সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে, মাতৃভূমির প্রশ্নে, মায়ের প্রশ্নে আমরা সবাই এক। যত দিন পর্যন্ত এই ধমনিতে রক্ত প্রবাহিত হবে, তত দিন পর্যন্ত দেশের পক্ষে, মায়ের পক্ষে এই হুঁশিয়ারি জারি থাকবে। কোনো রকম ষড়যন্ত্র নতুন বাংলাদেশের যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, ‘যদি কেউ সমগ্র বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করে তাদের কঠিন হাতে দমন করা হবে। আমরা সব কিছুর ঊর্ধ্বে দেশকে ভালোবাসি। ভারত বিভিন্নভাবে আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর পাঁয়তারা করছে। তাদের ষড়যন্ত্রে আমরা পা দেব না।
ভারতের দাদাগিরি রুখে দিতে বাংলাদেশের মানুষ সব সময় প্রস্তুত আছে।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। হাসিনা ৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে ভারত বাংলাদেশকে তার প্রদেশ হিসেবে ট্রিট করেছে। ভারত তার আধিপত্যবাদ কায়েম করার জন্য বারবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভারত সব সময় সীমান্তে আমাদের ভাই-বোনদের হত্যা করে। সীমান্ত হত্যার কোনো বিচার আমরা পাই না। ভারত ষড়যন্ত্র করছে দেশের বিরুদ্ধে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ব্যাহত করছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post