দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রমবাজারে বাড়ছে বিদেশি শ্রমিকের চাহিদা। প্রতি ১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭টিই বিদেশি শ্রমিক নিতে আগ্রহী। কান্ট্রি এমপ্লয়মেন্ট প্লাটফর্ম অপারেটরের জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য। তবে সাংস্কৃতিক পার্থক্য ও ভাষাগত দুর্বলতাসহ বেশ কিছু কারণে নিয়োগকর্তাদের প্রথম পছন্দের তালিকায় নেই বাংলাদেশি কর্মীরা।
জরিপ করা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বিদেশি কর্মীরা দক্ষিণ কোরীয়দের তুলনায় বেশি পরিশ্রমী। তাদের চাকরি ছেড়ে দেয়ার হারও অনেক কম। জরিপে অংশ নেয়া পাঁচশর বেশি প্রতিষ্ঠানের ৭৩ শতাংশ বলছে, স্থানীয়দের চেয়ে বিদেশি শ্রমিকদের বেতনের চাহিদা কম হওয়ায় তাদের নিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে কোম্পানিগুলোর।
তবে চাহিদা থাকলেও বাজার ধরতে পারছে না বাংলাদেশিরা। সাংস্কৃতিক পার্থক্য ও ভাষাগত দুর্বলতাসহ বেশ কিছু কারণে নিয়োগকর্তাদের প্রথম পছন্দের তালিকায় নেই বাংলাদেশি কর্মীরা।
বাংলাদেশ, চীন, নেপাল, ভিয়েতনামসহ ১৬টি দেশ থেকে এমপ্লোয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম বা ইপিএসের মাধ্যমে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। এই প্রক্রিয়ায় প্রতিটি দেশ থেকে কর্মী নিয়োগে কোটার ব্যবস্থা আছে। যার মাধ্যমে বছরে নির্দিষ্ট সংখ্যক শ্রমিক কাজ করার সুযোগ পান দেশটিতে। আরও বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার বিধিমালার পরিবর্তন চায় দক্ষিণ কোরিয়ার বেশিরভাগ কোম্পানি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post