৫ আগস্টের পর থেকে ঢাকা ও নয়াদিল্লি সম্পর্কে এক ধরনের টানাপোড়েন চলছে। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পৃথকভাবে চিঠি দিয়েছে ফাউন্ডেশন ফর ইন্ডিয়া অ্যান্ড ইন্ডিয়ান ডায়াসপোরা (ফিডস) নামের একটি সংস্থা।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই সংস্থার সদস্যদের সবাই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন, কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সেখানে স্থায়ী হওয়া ভারতীয়। গতকাল বুধবার ফিডসের প্রেসিডেন্ট খান্দেরাও কান্ড ট্রাম্প এবং বাইডেনকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ট্রাম্পকে প্রদান করা চিঠিতে ‘বাংলাদেশ একটি মৌলবাদী ইসলামি রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে’ উল্লেখ করে খান্দেরাও কান্ড বলেন, “বাংলাদেশ একটি মৌলবাদী ইসলামি রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে এবং সেখানে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের তৎপর হওয়া এখন জরুরি। আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনিক টিমের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি যে ক্ষমতা গ্রহণের পর তারা যেন বাংলাদশে শান্তি ফিরিয়ে আনা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করাকে অগ্রাধিকার দেন।”
বাইডেনকে দেওয়া চিঠিতে খান্দেরাও কান্ড বলেন, “বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে কি না— তা নির্ভর করছে দেশটির সবচেয়ে দুর্বল জনগোষ্ঠীসহ সব নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত থাকছে কি না। আমরা বিশ্বাস করি যে আপনি এবং আপনার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন সবসময়ই মানবাধিকার ইস্যুতে আপোসহীন এবং এই মুহূর্তে বাংলাদেশে যারা নিপীড়ন এবং বাস্তুচ্যুতির শিকার, তাদের রক্ষায় আপনি তৎপর হবেন।”
বেসরকারি একাধিক পরিসংখ্যানের তথ্য বলছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সনাতন সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে ২ শতাধিক হামলা-সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
অতি সম্প্রতি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম সম্মিলত সনাতন জাগরণ সমাজের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। আদালত জামিনও নামঞ্জুর করেছেন।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার ও তার জামিন না পাওয়া নিয়ে উভয় চিঠিতে উদ্বেগ জানিয়েছে ফিডস।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post