জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য নিয়ে করা গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১২ বছরে বন্ধ হয়েছে বেশ কয়েকটি বড় শ্রমবাজার। বাংলাদেশ থেকে ওমান, বাহরাইন, ইরাক, লিবিয়া, সুদান, মালয়েশিয়া, মিশর, রোমানিয়া, ব্রুনাই ও মালদ্বীপে শ্রমিক রফতানি স্থগিত রয়েছে। এর বাইরে ইতালির শ্রমবাজারে ওয়ার্ক পারমিট যাচাইয়ের কাজে ধীরগতি চলছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ভিসা ইস্যু বন্ধের কারণে কর্মী যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।
লিবিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মী যাওয়া শুরু হয়নি। এছাড়া মরিশাস বাংলাদেশিদের খুব কম সংখ্যক ভিসা দিচ্ছে।
তথ্য বলছে, ২০১৮ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইরাক সরকার। ফলে বৈধ পথে দেশটিতে জনশক্তি রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। একই বছর এক বাংলাদেশি বাহরাইনের এক ইমামকে হত্যা করে। এরপর থেকে বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হয় বাহরাইনের শ্রমবাজারও। ওই ঘটনার পর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয় বাহরাইন সরকার।
আর শ্রমবাজার বন্ধ না হলেও অনানুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছে আমিরাত সরকার। আর সিন্ডিকেটের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে এই বছরের ৩১ মে বন্ধ হয়ে যায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। এতে বিএমইটির ছাড়পত্র হওয়ার পরও ১৬ হাজার ৯৯০ জন কর্মী যেতে পারেননি। মে মাস থেকে মালদ্বীপেও বাংলাদেশিরা যেতে পারছেন না। ফলে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হচ্ছে সৌদির শ্রমবাজারে। যদিও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, বন্ধ থাকা শ্রমবাজার নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। একই সঙ্গে নতুন নতুন শ্রমবাজারও খোঁজা হচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post