ভারতে বেড়াতে গিয়ে সর্বস্ব খোয়ালেন দুই বাংলাদেশি পর্যটক। চলন্ত ট্রেনেই তারা খোয়ালেন ব্যাগ থেকে রুপি, টাকা, মোবাইল, স্বর্ণের অলঙ্কারসহ সবকিছু।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ নভেম্বর। শিলিগুড়ি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ নভেম্বর তারিখে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন দুই বাংলাদেশি পর্যটক। পরদিন ২৪ নভেম্বর রাতে শিয়ালদহ থেকে কাঞ্চনকন্যা ট্রেনে দার্জিলিং ও সিকিম ভ্রমণের উদ্দেশ্যে শিলিগুড়িতে যাচ্ছিলেন।
অভিযোগ, যাত্রাপথে ওই ট্রেনের ভিতরেই অচেনা দুই যাত্রী ওই দুই বাংলাদেশি পর্যটকের সাথে আলাপ জমান। পরবর্তীতে মালদা স্টেশনের কাছাকাছি এসে ওই দুই অচেনা ব্যাক্তি বাংলাদেশের নাগরিক ইয়ানা এবং তার চাচাতো ভাইকে বলেন, তারা মালদা স্টেশনে নেমে যাবেন।
তারা চাইলে তাদের ওই দুটি আসনে শুয়ে যেতে পারেন। যদিও তার আগে চা খাওয়ার কথা বলেন। প্রথমে ইয়ানার চাচাতো ভাইকে রং চা দেওয়া হয়, পরে চাও খান ইয়ানা। এরপর নিজের মোবাইল এবং মানিব্যাগ মাথার কাছে রেখে শুয়ে পড়েন ইয়ানা। পাশের আসনে শুয়ে পড়েন তার চাচাতো ভাইও।
পরদিন ২৫ নভেম্বর তারিখ ঘুম ভাঙলে ইয়ানা দেখেন হাতে স্যালাইনের সিরিঞ্জ লাগানো অবস্থায় তিনি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন।
গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে ইয়ানা বলেছেন, আমার ব্যাগে ১৫ হাজার রুপি, ৫ হাজার টাকা, পাঁচ কুয়েতি দিনার ছিল- তার কোনটাই নাই। ডান হাতে ৪ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের ব্রেসলেটটিও লুট করে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
এর পাশাপাশি তার কাজিনের কাছে থাকা ১৫ হাজার রুপি, ৭ হাজার বাংলাদেশি টাকা, ভিসা কার্ডসহ পুরো মানিব্যাগটাই ছিনতাইকারীরা নিয়ে গেছে।
পরবর্তীতে শিলিগুড়ি জংশন ‘গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ’ (জিআরপি)-তে অভিযোগ দায়ের করেন তারা। যদিও জিআরপি’র তরফে তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন ইয়ানা।
কিন্তু ভারতে বেড়াতে এসে এরকম এক অভিজ্ঞতার মুখে পড়বেন তা কল্পনাই করতে পারেননি তারা।
এ নিয়ে বুধবার(২৭ নভেম্বর) শিলিগুড়ির রেলপুলিশ (এসআরপি) কুনুয়ার ভূষন সিং বলেছেন, ভারতের প্রতিটি স্টেশনে লেখা রয়েছে ‘অচেনা ব্যাক্তির থেকে কোনো কিছু খাবেন না’। এ বিষয়ে সকলের সতর্ক হওয়া উচিত।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post