ভারতে ১৫ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে আটক করা হয়েছে ৯ জনকে। অবৈধ প্রবেশের অভিযোগে আটক ওই ৯ জনকে অবশ্য পরে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অন্যদিকে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকে আটক হয়েছেন আরও ৬ বাংলাদেশি। বুধবার (২০ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে মঙ্গলবার আসামের করিমগঞ্জ জেলায় ৯ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন— মো. মামুন, আবু নাইম, রাশেদ ইসলাম, মুরাদ আলী মন্ডল, মো. আশরাফুল হক, মো. বসির হাওলাদার, মো. রবিউল হাওলাদার, মো. মহাবত আলী ও মো. মহিম হোসেন। পরে তাদেরকে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে এই অভিযানের প্রশংসা করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন: “আজ আসাম পুলিশ করিমগঞ্জে ৯ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে শনাক্ত করেছে ও গ্রেপ্তার করেছে এবং পরে তাদেরকে সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে দিয়েছে।”
অন্যদিকে কর্ণাটকের চিত্রদুর্গায় জাল কাগজপত্রসহ আটক হয়েছেন ৬ বাংলাদেশি। ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ বি দিনাকর জানিয়েছেন, বাংলাদেশি নাগরিক বলে সন্দেহ হওয়ায় অভিযানে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছিল। তবে জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানা যায়, আটককৃত ১৫ জনের মধ্যে ছয়জন জাল নথি ব্যবহার করে ভারতে বসবাস এবং কাজ করছেন।”
তিনি আরও বলেন: “আমরা কলকাতায় তাদের জাল আধার কার্ড, ভোটার আইডি, লেবার কার্ড এমনকি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও খুঁজে পেয়েছি। তারা এই জাল পরিচয়ে বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করে আসছিল। আমরা সোমবার চিত্রদুর্গা জেলায় তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছি।”
অভিযুক্তরা হলেন— শেখ সাইফুর রহমান, মুহাম্মদ সুমন আলী, মাজহারুল, আজিজুল শেখ, মুহাম্মদ সাকিব সিকদার এবং সানোয়ার হোসেন। তাদের সবার বয়স ২২ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে।
ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ বি দিনাকর আরও বলেন, ভারতে বসতি স্থাপনের উদ্দেশ্যে তারা বেশ কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post