পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, অবৈধ বা অনিয়মিত অভিবাসন বন্ধ না হলে বৈধপথে অভিবাসনের সুযোগ সংকুচিত হবে। ইতোমধ্যে ইতালিতে ৬০ হাজার পাসপোর্ট আটকে আছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) ব্রিটিশ ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ক্যাথরিন ওয়েস্ট পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি জানান, প্রচুর মিথ্যা কাগজপত্র দেওয়ায় ইতালিতে পাসপোর্টগুলো আটকে আছে। দুঃখজনকভাবে এই দুর্নাম আমাদের হয়েছে। সঠিক কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করলে তারা লোক নিতে রাজি আছে।
তিনি বলেন, তারা কিন্তু সুযোগ দিয়েছে বৈধপথে অভিবাসন করার জন্য। কাজেই অবৈধ বা অনিয়মিত অভিবাসনের ক্ষেত্রে আমাদের কাছে যারা সহযোগিতা চায়, তাদের সহযোগিতা করা উচিত।
তৌহিদ হোসেন বলেন, অবৈধভাবে অবস্থানকারীদের ফেরত আনার জন্য স্ট্যার্ন্ডার্ড অব প্রসিডিউর আছে এবং আমরা তাদের ফেরত আনছি। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা করাই ভালো। আমাদের প্রবাসীদের বৃহত্তর স্বার্থ আছে এখানে। যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের সব দেশে বৈধপথে অভিবাসনের অনেক সম্ভাবনার তৈরি হচ্ছে। আমরা যদি অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে না পারি, তবে বৈধপথে অভিবাসনের সুযোগ পাব না।
পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার আলোচনা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করছে সরকার। এটি নিয়ে আমরা কথাবার্তা না বলি। এটি করতে হবে অত্যন্ত গোপনীয়তার মধ্যে দিয়ে। এটি নিয়ে চেচামেচি করলে এটি কাজ করবে না।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সম্পদ ফিরিয়ে আনার। প্রকৃতপক্ষে যেসব দেশে আমরা মনে করি— সম্পদ পাচার হয়ে থাকতে পারে, সেসব দেশে আমরা চেষ্টা করছি সম্পদ ফিরিয়ে আনা যায় কিনা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post