ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ইহুদি নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ইরান। একটি হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ইরানের আদালত ওই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে। আজ সোমবার ওই ইরানি ইহুদি নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে খালেজ টাইমস।
নরওয়েভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস গ্রুপের সূত্রে খালেজ টাইমস জানিয়েছে, মৃত্যুদণ্ডের সাজা পওয়া ওই ব্যক্তির নাম আরভিন ঘহরেমানি। তিনি ইরানের ইহুদি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন সদস্য।
খবরে বলা হয়েছে, ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কেরমানশাহেরের রাস্তায় কয়েকজন ব্যক্তি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন। সেখানে একজন ব্যক্তি খুন হন। সেই ঘটনায় হত্যার দায়ে ইহুদি নাগরিক আরভিন ঘহরেমানি দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ইরানের আদালত তাকে ফাঁসির সাজা দেয়।
ইরান হিউম্যান রাইটসের পরিচালক মাহমুদ আমিরি-মোগাদ্দাম বলেছেন, এমন সময় একজন ইহুদি নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো যখন ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। এমনকি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইরান এবং ইসরায়েল পরষ্পরের ভূখণ্ডে সরাসরি হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, এই সময়ে একজন ইহুদি নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যকার উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
মাহমুদ আমিরি-মোগাদ্দাম আরও বলেন, এই হত্যা মামলার বিচার ছিল যথেষ্ট ত্রুটিপূর্ণ। আরভিন একজন ইহুদি ছিলেন এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক ইহুদি বিরোধিতা নিঃসন্দেহে তার সাজা কার্যকর করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
শিয়া মুসলিম-অধ্যুষিত ইরানে একসময় বিশাল সংখ্যক ইহুদি সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করত। ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর বেশিরভাগ ইহুদি ইরান ছেড়ে চলে গেছে। তবে এখনো ইসরায়েলের বাইরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইহুদির বসবাস ইরানেই।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post